আমাদের ভারত, ১৭ জানুয়ারি: কুম্ভমেলার খরচকে কটাক্ষ করে নেটনাগরিকদের বিরূপ মন্তব্য শুনতে হলো কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যকে।
বিকাশবাবু সামাজিক মাধ্যমে অতি সম্প্রতি লিখেছেন, “জনগণের কষ্টার্জিত করের ১৫ লক্ষ কোটি টাকা অপচয় করা হলো কুম্ভ মেলায়। ওই ১৫ লক্ষ কোটি টাকায় কত স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও কারখানা তৈরি করে দেশবাসীর সামগ্রিক উন্নতি করা যেতে পারত সেটা ভেবে দেখার সময় এসে গিয়েছি। জনগণের করের টাকা মৌলিক জনস্বার্থেই খরচ করতে হবে।”
ওই মন্তব্যকে যুক্ত করে বিজেপি-র রাজ্য নেতা
তথা বিশিষ্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট সুদীপ্ত গুহ শুক্রবার লিখেছেন, “২০১২-১৩ তে হজের জন্য ভর্তুকির প্রায় সাড়ে আটশো কোটি খরচ করে ডঃ মনমোহন সিং। ২০১৮- তে আমাদের সরকার সেই খরচ বন্ধ করে দেয়। অথচ কলকাতার ইতিহাসের ব্যর্থতম মেয়র ১২ বছরে একবার কুম্ভ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ১৯৫২-র মত একটা বিপদ হলে খুশি হতেন? যিনি মেয়র থাকাকালীন কলকাতায় একটা বাঁধানো ফুটপাথও তৈরি হয়নি, তিনি উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন? ডেঙ্গু ম্যালেরিয়াতে রেকর্ড করে কলকাতা আপনার সময়। ক’টা স্কুল তখন আপনি বানিয়েছেন কর্পোরেশনের অধীনে? কটা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র আপনি বানিয়েছেন? সেই সময় রাস্তার ভ্যাট পর্যন্ত খোলা থাকতো এবং গন্ধে মানুষ রাস্তা দিয়ে বর্ষা কালে হাঁটতে পারতো না।”
সুদীপ্তবাবুর পোস্টে সমরেশ বিশ্বাস লিখেছেন, “১৫ লক্ষ কোটিতে কতগুলো শূন্য হয় সেটা কি উনি জানেন?আপনারা তো এক সময়ে হিতকর কাজকর্ম করেছিলেন। এখন তাহলে আপনাদের দিকে লোকজন ফিরেও তাকায় না কেনো?”
ভাস্কর চক্রবর্তী লিখেছেন, “এরা আজ কিবোর্ড এ টাইপ করে, অথচ এরাই কম্পিউটারের বিরোধী ছিলো, ইংরাজী তুলে দেবার ফসল তুলেছে ০০০০০০ হয়ে।” সুভাষ চন্দ লিখেছেন, “১৫ লক্ষ কোটি? কোথা থেকে এই ফিগার পেলেন ভদ্রলোক?”
পৃথক পোস্টে কলমলেখক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবযানী ভট্টাচার্য লিখেছেন, “মহাকুম্ভে কি হচ্ছে না হচ্ছে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যদের মত প্রো-আব্রাহামিক হিন্দুবিদ্বেষীদের পিতার তাতে কি? স্বয়ং কার্ল মার্ক্স হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন এবং চেয়েছিলেন বৃটিশেরা ভারতবর্ষে ক্রিশ্চানিটির প্রসার করুক আরও অ্যাগ্রেসিভলি। ম্যাক্সমুলার সাহেবেরও লক্ষ্য ছিল ঐ এক। ভারতবর্ষে ক্রীশ্চানিটির প্রসার।
বিকাশ ভটচায বরং সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানিটা যাতে হয় সে উদ্যোগ নিন। সে-ও তো কর্মচারীদের কষ্টার্জিত টাকা যার জন্য শ্রমটা তাঁরা দিয়ে ফেলেছেন ১৬ বছর আগে থেকেই। পঞ্চম পে কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী সে টাকা তাঁদের প্রাপ্য। ২০০৯-২০১৬ সাত বছরের এরিয়ার তাঁদের বকেয়া পড়ে রয়েছে। এঁদের শ্রম কি মূল্যহীন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী শ্রমজীবী মানুষগুলির প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এ হেন চরম অপরাধমূলক অবহেলার বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বরং গর্জে উঠুন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য। নাকি তা করবেন না কারণ সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তাঁ(দে)র সেটিং আছে?”