পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ মার্চ: বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অধ্যাপিকা পায়েল পাত্রের উদ্যোগে প্রতিবছরের মত এই বছরও এক আড়ম্বর পূর্ণ ঝলমলে বসন্ত উৎসবের সাক্ষী থাকল গোয়ালতোড় তথা এলাকার সকল মানুষ। একটুকরো শান্তিনিকেতনকে তুলে ধরলেন কয়েকশো ছাত্রছাত্রী ও নৃত্যশিল্পীরা।
সমগ্র অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ও উদ্যোগ সৃষ্টি ড্যান্স অ্যাকাডেমীর কর্ণধার তথা বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অধ্যাপিকা পায়েল পাত্র। সকাল আটটায় প্রায় চারশো ছাত্রছাত্রী, এলাকাবাসী ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সারা গোয়ালতোড় শহর প্রদক্ষিণ করেন। পদযাত্রা শেষে অধ্যাপিকা পায়েল পাত্র মাল্যদান করেন হুমগোড় মোড়ে সিধু কানু’র মূর্তিতে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডাঃ জয়ন্ত কিশোর নন্দী ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করেন ও সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমীকে অভিনন্দিত করেন এবং আগামীতে সৃষ্টির আরো শ্রীবৃদ্ধি হোক এই কামনা করেন। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও শিক্ষক দেবীপ্রসাদ পাঁজা, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী অনির্বাণ পাল, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী পায়েল সামন্ত সহ আরো বহু গুণীজন।
গুণীজন সংবর্ধনার পরে, সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ স্মারক ও সমস্ত বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। মূল অনুষ্ঠানে প্রায় চারশো জন ছাত্রছাত্রী তাদের নৃত্য প্রদর্শন করে ও কচিকাঁচারা মেতে ওঠে আবির ও রঙের খেলায়। একে অপরকে রঙ লাগিয়ে প্রত্যেকে রঙিন হয়ে উঠে। শেষে সবার জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা ছিল।
অ্যাকাডেমীর কর্ণধার পায়েল পাত্র বলেন, ‘এই বছর মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা আমায় অভিভূত করেছে। আমি আপ্লুত মানুষের এই ভালোবাসা পেয়ে। আমি কুর্নিশ জানাই আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীকে। প্রতি বছরের মত এইবছরও আমরা সুষ্ঠ ভাবে বসন্ত উৎসব পালন করেছি, এইজন্য ছাত্রছাত্রী, এলাকাবাসী ও সমগ্র অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে আমরা আরও নতুন রূপে, নতুন ভাবনায় গোয়ালতোড়ে বসন্ত উৎসব আয়োজন করতে চাই। এত সুন্দর স্টেজ ও ডেকোরেশনকে সাজিয়ে তোলার জন্য শিল্পী অভিজিৎ পাত্রকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।’
বিশিষ্ট অতিথি দেবীপ্রসাদ পাঁজা বলেন, “এলাকার কচিকাঁচাদের মাঝে নৃত্যকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যাপিকা পায়েল পাত্র তথা সৃষ্টি ড্যান্স অ্যাকাডেমী এক বিরাট ভূমিকা পালন করে চলেছে।”