সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১০ মার্চ: দোলের দিন চলন্ত ট্রেন লক্ষ করে ইট-পাথর, কাদা ছোড়ার ঘটনা খুব একটা অমিল নয়। কিন্তু সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গেল এ বার পার্ক সার্কাসের ঘটনা। ট্রেনের মহিলা কামরা লক্ষ করে প্লাস্টিকের প্যাকেট-বন্দি প্রস্রাব ছোড়ার অভিযোগ উঠল। আর তা গিয়ে লাগল কামরায় বসে থাকা মহিলা সাংবাদিকের গায়ে। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে চূড়ান্ত অভব্যতার শিকার হলেন সোনারপুরের বাসিন্দা পেশায় সাংবাদিক অদিতি দে নামে ওই তরুণী।
অদিতির অভিযোগ, বরাতজোরে অল্পের জন্য তার আঘাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু হলুদ জল দেখে প্রথমে অ্যাসিডের কথাই তার মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখেন, ত্বক জ্বলছে না, বরং বেরোচ্ছে ঝাঁঝালো গন্ধ। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশাল মিডিয়ায় বিস্তারিত লিখেছেন অদিতি।জিআরপিতে লিখিত বিষয়টি জানালেও তাতে খুব একটা সুরাহা হবে বলে মনে করছেন না তিনি।
পেশায় সাংবাদিক অদিতি দে-র যাদবপুরে অফিস হলেও এ দিন ব্যক্তিগত কাজে শিয়ালদহ গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরতে সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭.৪৫-এর ডায়মন্ড হারবার লোকাল ধরেন। ট্রেনে উঠে জানালার ধারের সিটে বসে পড়েন। অদিতির কথায়, ‘ট্রেন পার্ক সার্কাস ছাড়তেই কবরস্থান লাগোয়া বস্তি থেকে ট্রেনের মহিলা কামরা লক্ষ করে উড়ে আসে প্লাস্টিকের প্যাকেট-বন্দি প্রস্রাব।জানালায় লেগে সেই প্যাকেট ফেটে যায়। আর মুহূর্তেই ওই তরল ছিটকে লাগে আমার চোখে-মুখে, গায়ে। পরমুহূর্তেই জানালা লক্ষ করে ঢিল ছোড়া হয়। তবে সরে যাওয়ায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। না হলে যে কী হত, ভাবতে পারছি না।’
এ দিন অদিতির এই ঘটনা, ফের এক বার যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নটা তুলে দিয়েছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এমন ঘটনা বহু বার ঘটলেও হাত গুটিয়ে রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কোনও নজরদারি তো নেই, এমনকি মহিলা ট্রেনের কামরায় পুলিশও থাকে না। হয়তো বড় বিপদ না ঘটা পর্যন্ত সতর্ক হবে না পুলিশ।