আমাদের ভারত, ৭ আগস্ট: সোমবার রাত থেকে দেশজুড়ে হিন্দু নির্যাতন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। প্রাণে বাঁচতে দলে দলে হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করে বেরিয়ে যাচ্ছে। সরকার বিরোধী আন্দোলন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার মাধ্যমে শেষ হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেছেন অনেক রাজনীতিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হিন্দু বিরোধী দাঙ্গায় পরিণত হয়েছে ওই দেশে।
বেশ কিছু জায়গায় প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে হিন্দুদের উপর। খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালি সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের বাড়িঘর দখল করার পাশাপাশি মন্দির ভাঙ্গচুর হয়েছে। বাগেরহাটে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মৃণাল কান্তি চট্টোপাধ্যায় নামে এক হিন্দু শিক্ষককে। রেহাই পাননি তার স্ত্রী শেফালী চট্টোপাধ্যায় ও মেয়ে ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেই বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
খুলনার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরে আওয়ামি লিগ নেতা সুব্রত ঘোষ, পালা উপজেলা আওয়ামি লিগ নেতা সনৎ কুমার ঘোষ, প্রণব ঘোষ, বিশ্বজিৎ সাধু, শ্যামনগরের অসীম কুমার মৃধা, উৎপল মণ্ডল, মলয় মন্ডল, আসসুন্নির রাজেশ্বর দাসের বাড়ি ঘরদোর ভাঙ্গচুর করার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, সোমবার বিকেল থেকে দেশজুড়ে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিশানা করে হামলা শুরু হয়েছে। জামাত -সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। ঢাকার শাখারি বাজার, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মেয়েদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মেহেরপুরে ইসকন মন্দির ভাঙ্গচুর চালানো হয় হামলাকারীদের হাত থেকে কোনক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে পেরেছেন তিন আশ্রমিক।
দেশজুড়ে চলা হিন্দু নিধনযজ্ঞ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশেও সতর্ক করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রকৃত তথ্য আর জানা সম্ভব হচ্ছে না।