আমাদের ভারত, ৮ অক্টোবর: ঘোর অতিমারিতে যখন আতঙ্ক কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে বিশ্ববাসীকে, প্রায় চোখের আড়ালে শুরু হল এক নীরব কর্মযজ্ঞ। মানুষকে মানসিকভাবে ভালো রাখতে হবে। আনন্দে রাখতে সবে। তবেই তো লড়াই জোরদার হবে অসুখের সঙ্গে। আর উপরি পাওনা ঐতিহ্যের সংরক্ষণ।
রেডিও ঋদ্ধির সূচনা এভাবেই। এর পর সাহানা দেবী থেকে শুরু করে কবির সুমন, অন্বেষা দত্ত চক্রবর্তী থেকে শুরু করে তপন বসুর অনুষ্ঠান— সবার কাজই বেজে চলেছে এতে। মিউজিক থেরাপি ম্যাজিকের মতো কাজ করে— এই ভাবনায় রেডিও ঋদ্ধির যাত্রা শুরু। সম্প্রতি রেডিও ঋদ্ধির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী সুরকার রিকি কেজ। তাঁর সৃষ্টি ঝংকৃত হচ্ছে রেডিও ঋদ্ধিতে।
এই সঙ্গে নতুন প্রতিভাদের গান বাজছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সঞ্চারী গোস্বামী, প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জি, সৌমি দাস দত্ত চৌধুরী প্রমুখ। কী রবীন্দ্রসংগীত, কী আধুনিক গানে তাঁরা দেশ বিদেশ মাতিয়ে দিচ্ছেন।রেডিও ঋদ্ধির কর্ণধার সুশান্ত চন্দ্র জানালেন, গত দেড় বছরে রেডিও ঋদ্ধি আন্টার্কটিকা বাদে সব কটি মহাদেশেই বন্দিত হয়েছে। বিন্দু বিন্দু শ্রোতার সমন্বয়ে গঠিত হতে চলেছে মহা সিন্ধু।
গত দু’মাসে ভারতবর্ষ রেডিও ঋদ্ধি শুনেছে প্রায় ৬০ হাজার মিনিট। নাইজেরিয়া ৬ হাজার ৫৯৭ মিনিট, বারমুডা ৩ হাজার ৩২৭ মিনিট, উত্তর আমেরিকার হণ্ডরাস ২ হাজার ৯০৭ মিনিট, বেলজিয়াম ১ হাজার ৩৫০ মিনিট, কানাডা ২ হাজার ৫০০ মিনিট, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর পোর্ট অফ স্পেন ১২ হাজার ৬৫১ মিনিট, নরওয়ে ৭ হাজার ৭১৬ মিনিট, বাংলাদেশ ১ হাজার ৫ মিনিট, নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ড ৪ হাজার ৬১৭ মিনিট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ হাজার ৩৮৬ মিনিট।
এছাড়াও রয়েছে ফ্রান্স, চীন, হংকং, আইল অব ম্যান, সিঙ্গাপুর, দুবাই, কুয়েত ‘সৌদি আরব ও আরও অচেনা অজানা দ্বীপপুঞ্জের শ্রোতারা। সব মিলিয়ে লাখখানেকের ওপর মানুষ সূচনা থেকে রেডিও ঋদ্ধি শুনেছেন, ভালোবেসেছেন। সবার প্রিয় গুগল প্লে স্টোর তো আছেই। তাছাড়া গুগল সহ যে কোনো ব্রাউজারে RADIO RRIDDHI +ZENO FM-লিখলেই রেডিও ঋদ্ধি খুলে যাবে। ZENO নিউইয়র্কের স্বনামধন্য FM সংস্থা। গুগল প্লে স্টোর থেকে অতি সহজেই ইনস্টল করা যায় রেডিও ঋদ্ধি। খুবই হালকা এই অ্যাপ, মাত্র 6.7 MB জায়গা নেয় এই অ্যাপটি, এই অনলাইন রেডিও। ফোন ভারী হয়ে যাবার ভয় নেই। দেশ বিদেশের প্রচুর মানুষ একটানা চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমেরিকার বোস্টন থেকে সম্প্রচারিত এটি শুনছেন।
সুশান্ত চন্দ্রর বিশ্বাস বহুজাতিক এবং ক্ষুদ্র পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থন পেলে আরও বেশি সংখ্যক শ্রোতা পাবে রেডিও। আর সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে নতুন সাজে সাজছে রেডিও ঋদ্ধি। ঘরে বাইরের যে কোনো ধরণের রেডিও উপযোগী অনুষ্ঠানও পাঠাতে পারেন +৯১ ৯৮৩০৩৬৪৪২৯ এই নম্বরে। নিউ ইয়র্ক হোক বা চন্দননগর পরিষ্কার শোনা যায় রেডিও ঋদ্ধি। জানাচ্ছেন রেডিও ঋদ্ধির কর্ণধার কলকাতার ভবানীপুরের ছেলে সুশান্ত চন্দ্র।