আমাদের ভারত, ৮ অক্টোবর: “এ ভারী অন্যায়। এবারও নিরলস সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি থেকে ওনাকে বঞ্চিত করা হলো। ওনার সাহিত্যে নোবেল না পাওয়ার পিছনে একমাত্র কাজ করছে ঈর্ষা।”
শনিবার এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি লিখেছেন, “কেউ কেউ আবার এর (নোবেলে সাহিত্য) মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। পেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এহানু। উনি নেই।
ভাবতে অবাক লাগে নোবেল কমিটি ‘কবিতা বিতান’-এর নাম শোনেনি। ‘গীতবিতান’কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই বই এখন বাঙালির বীর পুত্রদের ঘরে শোভা পায়। শুধু একটা বই? বইয়ের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। অর্থনীতি থেকে সমাজনীতি সব আঙিনায় ওনার অবাধ যাতায়াত।
ননসেন্স ছড়া এপাং, ওপাং, ঝপাং সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে। কিছুতেই মানা যাবে না এই ছড়া নোবেল কর্তৃপক্ষের চোখে পড়েনি। কোনও লবি নিশ্চয় চুকলি কেটেছে। গান্ধীজিকে ফলের রস খাইয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ সেই ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলেছে। অন্যায়, খুব অন্যায়।
একটা ভাষায় নয়, একাধিক ভাষায় ওনার দখল। সাঁওতালি ভাষায় অবলীলায় কীভাবে লিখছেন গবেষণার বিষয়।
৮২ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ফরাসি লেখিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নোবেল কমিটির সদস্যরা জানান, এহানুর সাহসিকতার জন্য তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। তাঁর লেখায় জুড়ে গেছে তাঁর জীবনের ব্যক্তিগত স্মৃতির টুকরো টুকরো কিছু কাহিনি।
নোবেল কমিটি এহানুর সঙ্গে ওনার নাম জুড়ে দিতে পারত। জীবন সংগ্রাম বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেই সমস্যা মিটে যেত। বা আনটোল্ড স্টোরি বইটি। কেউ আবার ভুল করে দীপক ঘোষের লেখা “আনটোল্ড স্টোরি”-র কথা ভেবে বসবেন না।
উৎসবের মরসুম। তাই বাংলা জুড়ে এই বিষয়ে আন্দোলন হচ্ছে না। না হলে এতক্ষণে দুই একটা মিছিল হওয়া উচিত ছিল।
শোনা যাচ্ছে নোবেল কমিটি ওনার সাহিত্য সাধনার দিকে নজর রাখছে। এহানুর উপন্যাসের সংখ্যা মাত্র তিরিশ। ওনার তুলনায় নস্যি।
পাবেন জানি। আদতে ধৈর্য্য আর ধরছে না। এক বছরের মধ্যে আরও কিছু উপন্যাস লেখা হবে। নিরলস সাহিত্য চর্চাকে থামিয়ে রাখা যাবে না।”