আমাদের ভারত পূর্ব মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: তৃণমূল আস্তে আস্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে। তৃণমূলকে পিকে বাঁচাতে পারবেন না–এই কথা বললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, বিহার থেকে বুদ্ধি ধার করে নিয়ে এসে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না। গতকাল মেদিনীপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন সায়ন্তন বসু।
শুভেন্দু অধিকারী কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? তাই কি কলকাতায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবির পাশে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি লাগানো হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তন বসু বলেন, বিজেপি কোনওদিন কারো সাথে কারোর ছবি লাগায় না, এটা তৃণমূলের কাজ। এর পরেই শুভেন্দুর নাম না করে বলেন, কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেডের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে, কাটমানি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, বাংলার হিটলারি শাসনের বিরুদ্ধে যদি জনগণের এই যুদ্ধে কেউ শামিল হতে চায় আমাদের দলে তাকে স্বাগত জানাই।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং কাল সকালে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারী সহ আরো পাঁচজন সাংসদ বিজেপির পথে। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সায়ন্তন বসু জানান, কালীঘাটের দুজন ছাড়া এই দলে আর কেউ মনে হয় থাকতে চায় না। আমি কারো নাম করে বলতে চাই না। শুধু আজকেই নয়, প্রতিনিয়ত অনেকে বিজেপিতে যোগদান করছে। তৃণমূল পার্টি আস্তে আস্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
“পিকে’কে বিহার থেকে ধার করে এনে কোনও লাভ হবে না” বলে মনে করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা যদি জনগণের খাতে দিত তাহলে মানুষের উপকার হত। বিহারের বুদ্ধি নিয়ে এসে– পিকে’কে এনে জনগণের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও লাভ হবে না বলে আমার মনে হয়। যে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই নন্দীগ্রামের নদীতেই তৃণমূলের যাত্রাপথ শেষ হবে। যেখানে তৃণমূল শুরু করেছিল সেখানেই তৃণমূল শেষ হবে।