আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সঙ্গীত দিবস পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এবার বাংলার জন্য আলাদা পতাকারও দাবি উঠলো। দাবি তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। আর তাঁর এই দাবির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবির মাধ্যমে আসলে এই বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়াই লক্ষ্য।
বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের জন্য তৃণমূল বিধায়কের আলাদা পতাকার এই দাবি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এই দাবির বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন বাম, বিজেপি সকলেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মনোরঞ্জন ব্যাপারি তাঁর নিজের ইতিহাস ভুলে গেছেন। বাংলাদেশ থেকে লাথি খেয়ে এপারে এসেছেন। বাংলাদেশে থেকে উনি নিজে সেকুলারিজম চালাতে পারেননি। বাংলাদেশ থেকে নিজের ধর্ম বাঁচাতে এপারে চলে এসেছেন। এখন ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আলাদা রাষ্ট্র করার জন্য এইসব করছেন। এই সমস্ত উপদ্রবী লোকেরা এবং তৃণমূল কংগ্রেস যতদিন বাংলায় ক্ষমতায় থাকবে বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য বিপদের দিন আসছে।
তাঁর দাবি, এই ধরনের কাজ করে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতাকে উস্কানি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্বকে কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে সেই শক্তির সঙ্গে আমাদের নির্দয়ের মতো লড়তে হবে।
প্রসঙ্গত, মনোরঞ্জন ব্যাপারি বলেন, প্রয়োজন ও অপ্রয়োজন এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। একটা জাতি তার ভাষা, তার সাহিত্য, সংস্কৃতি সেই নিয়ে তার পরিচিতি গড়ে ওঠে। যে জাতির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি শক্তিশালী, সারা পৃথিবীতে সেই জাতি শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিগণিত হয়। বাঙালি জাতির সাহিত্য, সংস্কৃতিতে মেধা একটি তাকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে, ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে, পতাকা রয়েছে। আমাদের যখন রাজ্য সঙ্গীত মুখ্যমন্ত্রী সদিচ্ছায় জাতিকে গর্বিত করার জন্য উপহার দিয়েছেন। সবার কাছে আমি একটা আবেদন রেখেছি আমাদের রাজ্য সঙ্গীত আমরা পেয়েছি। রাজ্যের জন্য একটা পতাকা চিন্তা ভাবনা করা হোক, যে পতাকার মধ্যে দিয়ে বাঙালির কৃষ্টি সংস্কৃতি প্রকাশ পায়। আর এই নিয়েই তুমুল রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যে।