সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১০ জুন: বাঁকুড়া লোকসভা আসনটি বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেও বাঁকুড়া সদর বিধানসভায় পিছিয়ে রইলো তৃণমূল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় বাঁকুড়া সদর বিধানসভার অন্তর্গত বাঁকুড়া পুরসভার দখল তৃণমূলের হাতে থাকলেও ২৪ নং ওয়ার্ডের এই পুরসভায় মাত্র তিনটি ওয়ার্ড ছাড়া সবকটিতেই পিছিয়ে তৃণমূল।
পুর নির্বাচনে ২১টি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়, বাকি তিনটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্দল হিসাবে জয়ী হয়। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ১৯নং, ১২নং ওয়ার্ডে বিজেপি যথাক্রমে ১২২২ ভোটে ও ৩৩৫ ভোটে পিছিয়ে। এছাড়া ২নং ওয়ার্ডে মাত্র ৪৪ ভোটে পিছিয়ে ছিল বিজেপি।এছাড়াও তুল্যমূল্য লড়াই হয়েছে ৬নং ওয়ার্ডে।
বাঁকুড়া পুরসভা ছাড়াও বাকুড়ার ৯টি অঞ্চল রয়েছে সদর বিধানসভায়। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ৯টি অঞ্চলের মধ্যে ৬টিতেই এগিয়ে বিজেপি। যদিও বিগত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার বাঁকুড়া সদর বিধানসভায় প্রায় একচল্লিশ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখার্জির থেকে।এবার সেই সংখ্যা কমে ১৭ হাজারে এসে দাঁড়ায়। আবার বিধানসভা নির্বাচনে সদর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিলাদ্রী দানা জয়ী হন মাত্র ১৫০০ ভোটের ব্যবধানে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করে উঠতি নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়কে।
লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্রে জয়ী হলেও বাঁকুড়া সদর বিধানসভা তথা বাঁকুড়া পুরসভায় পিছিয়ে পড়া নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল শিবির।গতবারে বিজেপির দখলে থাকা শালতোড়া, ছাতনা ও রঘুনাথপুর বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপিকে পর্যুদস্ত করলেও সদর বিধানসভায় কেন পিছিয়ে তা নিয়ে জোরচর্চা চলছে তৃণমূলের অন্দরে।
এবিষয়ে বাঁকুড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী দানা বলেন, বাঁকুড়া সদর বিধানসভা অক্ষত রয়েছে, এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বাঁকুড়াবাসীকে।প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ ও সর্বোপরি মোদীজীর জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষবাবু বলেন, ভোট কম হলো কেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। বাঁকুড়া সদরে আমরা বেশি ভোট পেলেও গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বাঁকুড়া সদর বিধানসভায় এবার প্রায় ২৪ হাজার ভোট কম পাওয়া গেছে।
অপরদিকে তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, বিষয়টি ভেবে দেখার মতো। পুরপ্রধান অলকাসেন মজুমদারের কথায়, আমি শালতোড়ার দিকটির দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম। তাই বাঁকুড়ার দিকটা সেভাবে দেখতে পাইনি।
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, বাঁকুড়া সদর বিধানসভায় এরকম ফল কেন হলো তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা শীঘ্রই আলোচনায় বসবো।