আমাদের ভারত, ৩ জানুয়ারি: শিল্পীদের একাংশকে বয়কট করা নিয়ে তৃণমূলে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। আরজিকর কাণ্ডের সময় তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করা শিল্পীদের বয়কট করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের একটা অংশের প্রথম সারির নেতৃত্ব। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করে বলেছেন, এটা শিল্পীদের স্বাধীনতা বা তাদের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। এই বিষয়টিকে একদিকে যেমন কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার, তেমন এটাও বলেছেন এই দ্বন্দ্ব সাময়িক, কিছু দিন পরেই আমে দুধে মিশে যাবে।
শিল্পী বয়কট ঘিরে তৃণমূলের বিভাজন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা শিল্পীদের সম্মান করি। কিন্তু বলতে খারাপ লাগে, কিছু কিছু শিল্পী পদলেহন করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন যে তাদের আর কিছু বলার নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে মতবিরোধ আগেও হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের মধ্যে অনেক জিনিস নিয়েই লড়াই চলছে। তবে এখন এই লড়াই চললেও পরে দেখবেন আমে দুধে মিলে গেছে, আঁটি গড়াগড়ি খাচ্ছে।”
একই সঙ্গে শিল্পীদের বয়কটের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস মত প্রকাশের স্বাধীনতাতে বিশ্বাস করে না। তৃণমূল কংগ্রেসে একজন ব্যক্তি যা বিশ্বাস করবেন সেটাই ঠিক। তিনি যা বলবেন সেটাই ঠিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কালারের শাড়ি পরবেন সেই কালারের বিল্ডিং হতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়াই চটির রঙে সব বিল্ডিং হতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বস্ব দল। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, না হলে ওনারা বিশ্ব কবির তকমাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে দিতেন। স্বাভাবিকভাবে তারা এই ধরনের মানসিকতাতেই বিশ্বাস করবেন। যারা সমালোচনা করবে তাদেরকে ডাকা যাবে না।”
তবে সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের এমন অবস্থা যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দিকে তাকিয়ে থাকেন সবাই। তাই তো তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে মঞ্চে গিয়ে সেজেগুজে গান গাইতে হয় বা আরো কিছু করতে হয়। সবাই প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।”