Sukanta, BJP, ভারতকে হিন্দু সংখ্যালঘু করার চক্রান্তে সামিল তৃণমূল কংগ্রেস, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ২ জুন: ভারতকে হিন্দু সংখ্যালঘু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে, আর সেই চক্রান্তে সামিল তৃণমূল কংগ্রেস, এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার রাজ্যে এসে তৃণমূলের তোষণ নীতি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অমিত শাহ। আজ সেই পথেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

রবিবার রাজ্যে এসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য মমতা সরকারকে সরিয়ে বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে‌ ক্ষমতায় আনতে হবে। তাঁর কথায়, বাংলার ভবিষ্যতের সঙ্গে পুরো দেশের সুরক্ষা জড়িত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলা সীমান্ত দিয়ে ঢোকার সুবিধা তৈরি করে রেখেছে, নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে। মুর্শিদাবাদের দাঙ্গার ঘটনায় শাহর দাবি, এটা স্পন্সর্ড দাঙ্গা ছিল। হিন্দু বিরোধী এই হামলায় সরাসরি তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী যুক্ত ছিল। ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম তোষামদের সমস্ত সীমা পার করেছে বলেও দাবি করেন শাহ।

আর সোমবার শাহর কথার রেশ টেনেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, ভারতকে হিন্দু সংখ্যালঘু করার চক্রান্ত চলছে, এবং সেই চক্রান্তে সামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘুরিয়ে হলেও সেই চক্রান্তে সামিল আরও দুই দল। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস’ও এই চক্রান্তের ভাগীদার বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। মুসলিমরা যাতে দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় সেই চক্রান্তই চলছে। এই দলগুলোর বিভিন্ন কার্যকলাপে তার প্রতিধ্বনি শোনা যায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পরিষ্কার ও সোজা কথা সোজা ভাবে বলাই ভালো। হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ ভারতবর্ষ থেকে হিন্দুদের সংখ্যা কমিয়ে তা মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা চলছে, এবং এতে তৃণমূল কংগ্রেস সামিল রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএম হাত ধরাধরি করে চলছে এই উদ্দেশ্যে। সিপিএম পেছন দিক থেকে হাত ধরলে, কংগ্রেস সামনের দিক দিয়ে হাত ধরছে। কারণ সিপিএম বরাবর ঘুরিয়ে নাক ধরতে পছন্দ করে।

তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার- এর পাল্টা দিয়ে বলেন, ভারতবর্ষ নিয়ে কথা বলার অধিকার সুকান্ত মজুমদারকে কে কবে থেকে দিল? পশ্চিমবঙ্গ সামলাতে পারছেন না, পশ্চিমবঙ্গে নিজের পার্টিটাকে দেখতে পারছেন না, বিজেপি শতভাগে বিভক্ত, সেখানে দাঁড়িয়ে ভারতবর্ষ নিয়ে কথা বলতে শুরু করে দিলেন। মোদী, অমিত শাহ যে কথা বলছেন না, উনি হঠাৎ এসব কথা আকবাড়িয়ে বলছেন কেন? ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে হিন্দু- মুসলমান করছেন কেন? ভারতবর্ষ এক ছিল, এক আছে, এক থাকবে। ধর্ম নিয়ে ওনাদের এই ভারতবর্ষকে ভাগ করার, জনজাতিকে ভাগ করার ষড়যন্ত্রই সব থেকে খারাপ ষড়যন্ত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *