আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৯ ফেব্রুয়ারি: চকলেটের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় টোটো চালক৷ ছাত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে টোটো করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত টোটো চালকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে অভিযোগ দায়ের হতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেফতার করলো জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ৷ রবিবার জেলা আদালতে তুলে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ৷ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এক গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী।
ঘটনার সূত্রপাত গত মাসের ২১ জানুয়ারি। শহরের এক স্কুলের ছাত্রী ওই নাবালিকা। স্কুল ছুটির পর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য পরিচিত টোটো চালকের টোটোয় উঠেছিল ওই ছাত্রী। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ২৬ বছর বয়েসের ওই টোটো চালক নাবালিকাকে টোটোতে তুলেছিল। বাড়ির উদ্দেশে না গিয়ে তিস্তা উদ্যান এলাকায় নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জোর করে নাবালিকাকে চকলেট খাইয়ে দেওয়া হয়। চকলেটে কিছু মিশিয়ে দেওয়ার কারণে ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর তিস্তা পাড়ের নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত টোটো চালক বলে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার। ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া হয় কাউকে কিছু না বলার জন্য৷
গতকাল অর্থাৎ শনিবার ছাত্রীর স্কুল ব্যাগে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট দেখতে পায় ছাত্রীর মা। এরপরেই পরিবারের চাপে ছাত্রী ঘটনার বিবরণ তুলে ধরলে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট অভিযুক্ত টোটো চালক ছাত্রীকে দিয়েছিল বলে দাবি। অভিযুক্ত টোটো চালকের ফাঁসির দাবি জানায় পরিবার। এদিন অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত বলে জানালেন সহকারি আইনজীবী সিন্ধু কুমার রায়।