আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৮ ডিসেম্বর: কৃষকদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। বেসরকারি বাস ছাড়া সবই প্রায় স্বাভাবিক ছিল অন্যদিনের মত। কোলাঘাটের দেউলিয়া, পাঁশকুড়া এবং তমলুকের নিমতৌড়ি সহ কয়েকটি জায়গায় অবরোধের ফলে দীর্ঘক্ষন যান চলাচল বন্ধ থাকে। তৃণমূল বনধ সমর্থন করায় পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই মনে হয়েছে সাধারণ মানুষের।
জেলাসদর তমলুক, মহকুমা শহর কাঁথি, এগরা ও হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। অধিকাংশ বাজার, দোকান ও অফিস খোলা ছিল। বেসরকারি বাস না চললেও সরকারি বাস চলেছে জেলাজুড়ে। জেলায় ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
জেলার সবরুটে সরকারি বাস চলেনি। দুএকটি ছাড়া অধিকাংশ বেসরকারি বাস না চলায় ও প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি বাস কম থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নিত্য যাত্রীসহ সাধারণ যাত্রীদের। অন্যান্য যান চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মত স্বভাবিক।
জেলাসদর তমলুক সহ সমস্ত শহরেই সকালবেলা এসইউসিআই ও বাম সহ ধর্মঘট সমর্থনকারীরা পথে নামে। পথ অবরোধ করার ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তমলুকের নিমতৌড়িতে এবং কোলাঘাট থানার দেউলিয়া বাজার, কাঁথি, হেঁড়িয়া সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ধর্মঘট সমর্থকরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় যানজট সৃষ্টি হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশকে আজকে সেভাবে রাস্তায় দেখা যায়নি।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কোলাঘাট, মেচেদা ও পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘট সমর্থনকারীরা রেল অবরোধ করায় সকালের দিকে ট্রেন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়, পরে সিআরপিএফ এর উদ্যোগে অবরোধমুক্ত হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জেলাজুড়ে বেসরকারি বাস না চললেও সরকারি বাসের পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
স্কুল-কলেজ এখন এমনিতেই বন্ধ। তবে অধিকাংশ অফিস ছিল খোলা। তবে তমলুকে আদালত বন্ধ ছিল।
শিল্পাঞ্চল হলদিয়ায় অবরোধের প্রভাব সেরকম পড়েনি বললেই চলে। কেবলমাত্র বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ থাকা ছাড়া বাকি সমস্ত কিছুই অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। বন্দর সহ কলকারখানায় কাজ হয়েছে স্বাভাবিক ভাবে। হলদিয়া বন্দর ও কলকারখানার পাশাপাশি জেলার সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে কর্মীর সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক।
জেলার গ্রামাঞ্চলে ধর্মঘটের কোনো প্রভাব প্রায় পড়েনি। তবে বেসরকারি বাস না চলায় মানুষজন খুব একটা এলাকার বাইরে যেতে পারেনি।
সারা জেলাজুড়ে ধর্মঘটে ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত দু-একটি ঘটনা ছাড়া বড় কোনো গন্ডগোলের খবর নেই।
সব মিলিয়ে সারা জেলায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি তেমনভাবে।