পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ এপ্রিল: ভোটের মুখে রদবদল। নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। এদিন জেলা পার্টি অফিসে দলীয় পতাকা দিয়ে তাকে দলে টেনে নিলেন তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা ও বিধায়ক দিনের রায়। নির্দল সদস্য বললেন কাজ করতে পারছিলাম না, পাশে কেউ সঙ্গী সাথী ছিল না।
ভোটের মুখে রাজনৈতিক রদ-বদলের ঘটনা কোনো বড় ঘটনা না। শাসক দল থেকে বিরোধী দলে বা বিরোধী দল থেকে শাসক দলে রদবদল ঘটেই চলে। গোটা রাজ্যের সঙ্গে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই ঘটনা ঘটেই চলছে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ১ নং অঞ্চলের হরিয়াতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য অমিত লায়েক তৃণমূলে যোগদান করলেন। এদিন তিনি তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুর বিধানসভার বিধায়ক দিনেন রায় সহ অন্যান্যরা। এই পঞ্চায়েত সদস্যের বক্তব্য, নির্দলে জিতে ঠিক মতো কাজ করতে পারছিলাম না। ওখানে পাশে কেউ ছিল না। তাই দিদির উন্নয়নের সামিল হয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম কাজ করার লক্ষ্যে।
যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক সভাপতির সুজয় হাজরা বলেন, ”এই লোধা শবর নির্দল প্রার্থী বিজেপি সমর্থিত হয়েই জিতেছিলেন এবং কাজ করছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি তিনি কাজ করতে পারছিলেন না। তার অভিযোগ ছিল, তার সঙ্গী সাথীরা তার সঙ্গ দিচ্ছে না। তাই তিনি খড়্গপুর তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আজকে তিনি উন্নয়নের শামিল হয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। আজ থেকে তিনি তৃণমূলের সমস্ত কাজকর্ম করতে পারবেন।যদিও এদিন এই পঞ্চায়েত সদস্য ঠিক কি কারণে তৃণমূলে যোগ দিলেন তা সঠিক করে বলে উঠতে পারেনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে। বারবার জিজ্ঞেস করলে তিনি চুপ থাকেন।
অন্যদিকে খড়্গপুরের বিধায়ক দিনেন রায় বলেন, অমিত লায়েককে আমি ঠিক চিনতাম না। তবে ওর কাকাকে চিনতাম। কোনো কারণে ও চলে গিয়েছিলো ওই পাশে। তবে ও ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে আসার আবেদন করেছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ আমরা তৃণমূলে যোগদান করালাম।