Sri Ram, Ayodhya অযোধ্যায় শ্রীরামজন্মভূমিতে ‘জাতীয় চিত্রকথা’ কর্মশালায় বাংলার অকালবোধন, বাংলার দুর্গোৎসবের সূচনা

আমাদের ভারত, ১৪ এপ্রিল: উত্তরপ্রদেশ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অধীন ললিত কলা একাডেমী এবং উত্তরপ্রদেশ সংস্কার ভারতীর উদ্যোগে অযোধ্যায় শ্রীরামজন্মভূমিতে ‘জাতীয় চিত্রকথা’ কর্মশালার আসর বসেছিল। গত ১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ৬ দিনের কর্মশালায়  সারা ভারতের ৫১ জন চিত্র শিল্পী কে আমন্ত্রণ জানানো হয়।দেশের ৫১ জন শিল্পীর মধ্যে বাংলার দুই শিল্পী ও আমন্ত্রিত হয়েছিল। কর্মশালায় সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের প্রতিনিধিরূপে অংশগ্রহণ করেন বাংলার প্রতিভাবান দুই শিল্পী  জয়দেব বণিক ও  শীর্ষ আচার্য।

৬দিনের কর্মশালায় প্রতিটি শিল্পীকে দুটি করে ছবি আঁকতে হয়। শিল্পী শীর্ষ আচার্য  “অকালবোধন” শীর্ষক চিত্র অঙ্কন করেন; যা বাংলার দুর্গোৎসবের সূচনা বলে স্বীকৃত। শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে শক্তি আহরণে ও দিব্যাস্ত্র লাভের উদ্দেশ্যে অকালে অর্থাৎ বসন্ত কালের বদলে শরৎ কলে মা দুর্গার আবাহন করেন, মায়ের এই অকাল বোধন পূজা থেকেই আজকের বাঙালির এই দুর্গা পূজা। এই অঙ্কিত চিত্রে শ্রীরাম সাগরের পারে বসে ১০৮ নীল পদ্ম দিয়ে মায়ের ঘট পূজা করছেন, এমন সময় মা দুর্গা আবির্ভূতা। মায়ের ছবিটি এখানে বাংলার সাবেকি দুর্গা প্রতিমা মুখ মন্ডল প্রকাশ পেয়েছে। যা বাংলার শিল্প গাম্ভীর্যের পরিচয়।

অপর ছবির বিষয় – “ইতিহাস এর পুনোরাবৃত্তি” ।repetation of history. বর্তমানে নিজের জন্মস্থানে ভব্য মন্দিরে বাল্যরূপে সুসজ্জিত হয়ে দাড়িয়ে আছেন রামলালা। দলে দলে ভক্তগণ তাঁকে দেখে অশ্রু প্লাবিত হচ্ছেন।  শিল্পী শীর্ষ আচার্য এই ছবি আঁকার পর বলেন, “শ্রীরাম কে দেখে ভক্তের ভাব যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি এসবের মাঝে রাম এর কি অনুভূতি হচ্ছে সেই নিয়ে আমার এই ছবি। ছবিতে, শ্রীরাম নবকিশোর রুপে সুসজ্জিত হয়ে দাড়িয়ে ভক্তদের দর্শন দিয়ে দিতে ফিরে গেছেন তার স্মৃতির অতীতে, যখন এভাবেই মা কৌশল্যা তাঁকে সাজিয়ে দিতেন, তাঁর বালক ভাইগণ খেলত, বাবা দশরথ দূর হতে আনন্দ প্লাবিত হয়ে এই সব দেখতেন। সেই অন্দর মহলের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।”

সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক তিলক সেনগুপ্ত জানান, “শ্রীরাম জন্মভূমি অযোধ্যা ধামে বসে সারা দেশে ৫১ জন শিল্পীর মধ্যে সংস্কার ভারতীর বাংলার দুই শিল্পী স্থান পাওয়াটা খুবই গর্বের। কারন কর্মশালার ছবি অযোধ্যায় নির্মীয়মান প্রদর্শশালায স্থান পাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *