আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর: বৃহস্পতিবার রাজ্য সভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন দাবি করেছেন বাংলাদেশ ইস্যুতে লোকসভা ও রাজ্য সভায় বিবৃতি দিন মোদী। তাদের কথায় ভোট প্রচারে বিজেপি হিন্দু হিন্দু করলেও বাংলাদেশের হিন্দুদের নির্যাতনের বেলায় চুপ কেন? এর পাল্টা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভন্ড হিন্দু বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, তৃণমূল আসলে রামায়ণের ভন্ড রাবণ ছাড়া কিছুই নয়।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তার মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাংলাদেশ ইস্যুতে তৃণমূলের মোদীর বিবৃতির দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী জানেন কী করতে হবে। তৃণমূল হিন্দু সাজার চেষ্টা করছে। টিএমসির এই হিন্দু সাজার প্রবণতা সম্পর্কে বাংলার মানুষকে এটাই মনে করাবো, আমাদের পূর্বপুরুষরা রামায়ণ- মহাভারত লিখে গিয়েছিলেন আমাদের শিক্ষার জন্য। রামায়ণের রাবণ গেরুয়া কাপড় একবারই পরেছিলেন, যখন সীতাকে হরণ করতে হয়েছে। বাদবাকি সময় আমরা কখনো রাবণকে গেরুয়া কাপড় পরতে দেখিনি। এই গেরুয়া ভন্ড রাবণদের থেকে সাবধানে থাকবেন, না হলে সীতা হরণ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন দাবি করেছেন লোকসভা ও রাজ্য সভায় মোদী বাংলাদেশ ইস্যুতে বিবৃতি দিন। এই নিয়ে রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোল হয়, তারপর মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন। সংসদের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ওখানে হিন্দুদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই। এই অবস্থায় আমরা দাবি করেছি প্রধানমন্ত্রী লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিবৃতি দিন। ভোটের সময় ওরা হিন্দু হিন্দু করে আর বাংলাদেশি হিন্দু নির্যাতনের বেলায় চুপ কেন?
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হিন্দুদের ওপর লাগাম ছাড়া নিপীড়নের ধারাবাহিক ঘটনায় ক্রমশই অবনতির পথে হাঁটছে প্রতিবেশী দেশটি। মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। এরমধ্যেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা গিয়ে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠকও করে এসেছেন। কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের সঙ্গেও। হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন বিক্রম মিশ্রি। এপার বাংলায় শহর কলকাতা সহ জেলায় জেলায় প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়েছে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে।