TMC, Suiri, ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, এবার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লক সভাপতির ঠ্যাং ভাঙ্গার হুমকি

আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২২ এপ্রিল: এবার দলের ব্লক সভাপতির পা ভাঙ্গার হুমকি দিলেন দলেরই নেতা। একই সঙ্গে গ্রাম ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে। হুমকির জবাব দিতে গিয়ে ব্লক সভাপতি নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের দিকে আঙুল তুলেছেন। প্রকাশ্য দলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে। তৃণমূলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে মরিয়া বিরোধীরা।

সোমবার সন্ধ্যায় সিউড়ির দমদম পঞ্চায়েতের ধলটেকুঁড়ি গ্রামে সভার আয়োজন করে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠী। মূলত ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে ডাকা ওই সভা দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ঘুরে যায়। ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের নাম না করে তাঁকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে যান নেতৃত্ব। নুরুল ইসলাম এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ফলে তাঁকে সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি করা হয়েছিল। গরু পচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই শিবির বদলে ফেলেন নুরুল ইসলাম। মিশে যান কাজল শেখ গোষ্ঠীতে। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে চলেছেন। কিন্তু ব্লকের একটা বড় অংশ এখন অনুব্রত গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করে চলেছেন। তাদেরই সভা ছিল সোমবার।

সভায় এরসানুল হক ওরফে বকুল বলেন, “আপনি দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লাগাচ্ছেন। আপনি যদি বাপের ব্যাটা হত তাহলে দেখান মানুষ আপনার সঙ্গে আছেন, না আমাদের সঙ্গে আছেন। দেখাতে না পারলে সুড়সুড় করে ঘরে ঢুকে যান। বলরাম বাগদি, অশ্বিনী মণ্ডলের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে আপনার ঠ্যাং ভাঙ্গা যাবে। আমি মনে করলে আপনাকে গাঁ ছাড়া করতে পারি।” পরে সাংবাদিকদের এরসানুল বলেন, “গোরস্থানে একটা হাইমাস লাইট লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু ব্লক সভাপতি ওই লাইট নিজের ছাগলের ফার্মে লাগিয়েছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত চাইছি আমরা। দল যেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”

ঠ্যাং ভাঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ব্লক সভাপতি দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন। তিনি সিপিএম, বিজেপিকে মদত দিচ্ছেন। এমনটা করলে কর্মীরা তাঁকে ছাড়বেন না। সেটাই বলে আমি সাবধান করতে চেয়েছি।”

নুরুল ইসলাম বলেন, “এসব বোলপুরের নির্দেশে হচ্ছে। দুর্নীতি না থাকলেও দুর্নীতি খুঁজে বের করতে হবে। এটাই এখন ওদের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না বোলপুর গোষ্ঠী। নিজেকে ওরা দলনেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বড় ভাবছে। এটা আমি মানতে পারব না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *