আমাদের ভারত,২২ এপ্রিল: হাজরা মোড়ে বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাদের কর্মসূচিতে অনুমতি নেই, জানিয়ে সুকান্ত মজুমদারদের আটক করে পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতাদের আটক করে টেনে ভ্যানে তোলা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে মুর্শিদাবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাজরা মোড়ের দোকানে দোকানে চাঁদা চাইছিলেন সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা- কর্মীরা। তাদের হাতে ছিল ঘর ছাড়াদের জন্য ভিক্ষা পাত্র। সেখানে রাস্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকায় পুলিশ। কেন তাদের আটকানো হলো তা জানতে চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পুলিশকে তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। রাস্তা ব্লক করছি না। দোকানে দোকানে গিয়ে টাকা চাইছি। কোনো মিছিল করছি না। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি মানতে চায়নি পুলিশ। তারা জানিয়ে দেয়, বিনা অনুমতিতে এভাবে রাস্তা আটকাতে পারেন না তারা। এটা বেআইনি জমায়েত।
তুমুল বচসা বাধে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা- কর্মীদের। সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি না মেনে তাদের ভ্যানে তোলা হয়। সুকান্তবাবু বলেন, পুলিশ বেআইনি কাজ করছে।
বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থকদেরও ভ্যানে তোলা হয়। মহিলা বিজেপি কর্মীরা বলেন, মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের জন্য আমরা শুধু চাঁদা চাইতে এসেছিলাম। পুলিশ সেটাও করতে দিল না।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছিল। তাতে বহু হিন্দু পরিবারের গাড়ি, দোকান ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙ্গচুর চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে গঙ্গা পেরিয়ে অনেকে মালদার বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলে আশ্রয় নেন। পুলিশ জানিয়েছে, হিংসা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু আক্রান্তদের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বহু ক্ষতি হয়েছে। তাই সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত ঘরছাড়াদের জন্য ভিক্ষা পাত্র হাতে নিয়ে হাজরা মোড়ের দোকানে দোকানে চাঁদা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা। তাতেও বাধা দিল পুলিশ।