আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৩ ফেব্রুয়ারি: বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইলের সিম জালিয়াতির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল জলপাইগুড়ির সাইবার থানা। অন্যের নামের সিম বেশিদামে জালিয়াতি চক্রের হাতে তুলে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত তিনজন মোবাইল সিম বিক্রেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃতদের কাছ থেকে অসংখ্য অ্যাক্টিভ ও আগে থেকে অ্যাক্টিভ করা সিম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সিম অ্যাক্টিভ করার কাজে ব্যবহৃত আঙুলের ছাপ নেওয়ার মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। জলপাইগুড়ির জালিয়াতি সিম পৌঁছে যায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়, সেখান থেকে একাধিক সাইবার অপরাধে এই সিম কাজে লাগিয়ে ফোন করা হতো বলে দাবি পুলিশের। জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় সাইবার অপরাধীদের কাছে কিভাবে সিম পৌঁছে যেত তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। সিম জালিয়াতির চক্র কিভাবে চলত তা তদন্তের জন্য রবিবার ধৃতদের জেলা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিতে চলছে পুলিশ।
ধৃতরা হলেন মালবাজারের ক্ষুদিরাম পল্লীর সিম বিক্রেতা অর্ণব দত্ত, নাগরাকাটার সুনিল প্রসাদ ও মেটলির নরেন্দ্র ঠাকুর। ধৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫১টি সিম জালিয়াতি করেছে অর্ণব বলে দাবি পুলিশের৷ পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছরে মোট ১৭২টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ বিভিন্ন থানায় এসেছে। চারটি মামলা করা হয়েছে, এই মামলার পরিপেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি পুলিশের। আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দাবি।
এদিন সাইবার থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “আঙুলের ছাপ ও একাধিক ছবি তুলে একটি সিমের জায়গায় কয়েকটি সিম অ্যাক্টিভ করত ধৃতরা। সেই সিম পৌঁছে যেত সাইবার অপরাধীদের কাছে। এরপর ওই সিম দিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সহ বিভিন্ন কল সেন্টারে সাইবার ক্রাইমের কাজে ব্যবহার করা হত। ধৃতদের অ্যাক্টিভ করা মোবাইলের সিম কলকাতার সাইবার অপরাধীদের কাছে কিভাবে পৌঁছে যেত তার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক পুলিশ অফিসার।