পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জুন: দীর্ঘ তিনমাস প্রচারের ঝড়ের পর অবশেষে জুনের শুরুতে জুনের জয় হলো মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ২৭১৯১ ভোটের ব্যবধানে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র দখল করলো তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই খড়্গপুরের গণনা কেন্দ্রের বাইরে উড়লো সবুজ আবির। বিজেপির জোরদার প্রচারের পরেও মেদিনীপুরে জ্বললো না আগুন। এদিন খড়্গপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে মেদিনীপুর লোকসভার কেন্দ্রের ভোট গণনা শুরু হয় নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা থেকে। প্রথম থেকে প্রায় ৫/৬ রাউন্ড পর্যন্ত ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। ফলে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকা গেরুয়া শিবিরে বইতে শুরু করেছিল খুশির হাওয়া।
কিন্তু বেলা ১২টার পর থেকে পাল্টাতে শুরু করে পাশা। ভোটে এগিয়ে যেতে থাকে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। এরপর থেকে ক্রমশই বাড়তে থাকে জুন মালিয়ার ভোটের ব্যবধান। একসময় যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজারের উপরে। আর তারপরই গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকা তৃণমূলের ক্যাম্পে উড়তে শুরু করে সবুজ আবির। উল্লাসে মেতে ওঠে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিধায়ক এবং দলীয় কর্মী সমর্থকরা। তবে সময়ের সাথে সাথে কমতে শুরু করে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার জয়ের ব্যবধান এবং গণনা শেষে যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৭১৯১ ভোটে। ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন জুন মালিয়া। তবে গণনা কেন্দ্র থেকে দলের ক্যাম্পে এসে পৌঁছানোর আগেই প্রার্থীকে ঘিরে ধরে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
তার মাঝে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকা সাংবাদিকদের দল। তাদের মুখোমুখি হয়ে খোস মেজাজে জুন মালিয়া বলেন, এই জয় মা মাটি মানুষের জয়। পুরো তৃণমূল পরিবারের জয়। এতোবড় একটা যুদ্ধ আমার একার পক্ষে জয়লাভ করা সম্ভব ছিল না। এই জয় মমতা দিদি থেকে শুরু করে অভিষেক ভাই এবং তৃণমূলের সমস্ত সৈনিকদের জয়। আগামী দিনে অনেক কাজ করতে হবে, শুধু মেদিনীপুর খড়্গপুর নয় মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভাজুড়েই কাজ করতে হবে।