আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৫ জুন: পড়শি এক নাবালিকার সঙ্গে বলপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, পরে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে যায়। প্রায় নয় বছর জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জেল হেফাজতে থাকার পর বুধবার অভিযুক্ত যুবককে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জেলা আদালত, জানালেন সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, “মামলাটি উঠেছিল আদালতের স্পেশাল জজ পকসো কোর্টে। বিচারক ছিলেন ইন্দুবর ত্রিপাঠী। এই মামলায় দু’জন চিকিৎসক, একজন পুলিশ অফিসার সহ মোট নয় জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছে।”
২০১৫ সালে মে মাসে জলপাইগুড়ি পুরসভার একটি ওয়ার্ডের পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ট শ্রেণির এক নাবালিকার সঙ্গে বলপূর্বক দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছিল। কিছুদিন বাদে নাবালিকার পরিবার নাবালিকার শারিরিক সমস্যা দেখতে পান। এরপর চিকিৎসক দেখানোর পর হতবাক পরিবার। ১২ বছরের নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে নাবালিকা সন্তান জন্ম দিতে পারেনি বলে দাবি নাবালিকার পরিবারের। মহিলা থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় নাবালিকার পরিবার।
অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে ছিল। মাঝে অভিযুক্তের বাবার মৃত্যুর কারণে ইন্টেরিম বেলে ছাড়া পেয়েছিল সে। এতদিন জেল হেফাজতে থেকে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে ছিল। এ দিন সাজা ঘোষণা হল।
আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন,” অভিযুক্ত যুবকের দশ বছরের সাজা, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা হয়েছে। অন্যদিকে নাবালিকার ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে জেলা লিগাল সার্ভিস অথোরিটি। প্রায় নয় বছর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি থাকায় অভিযুক্তকে আরও এক থেকে দেড় বছর বন্দি থেকে ছাড়া পাবে অভিযুক্ত।”