আমাদের ভারত, ২৩ নভেম্বর: রাজনীতিকদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থা৷ যদিও বাংলার মানুষ বিষয়টিকে বেশিদিন মেনে নেবে না৷” রাজ্যপালের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয় রাজভবনের তরফে৷ তাতেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপরে চিত্র প্রদর্শনী এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার সূচনাতে তাঁর এক মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের পর তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল৷ দু’বছরের অভিজ্ঞতাকে ‘অম্ল মধুর’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ বলেন, “বাংলার মানুষ ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ৷ কিন্তু রাজ্য রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ৷”
শনিবার সকাল ১০টায় প্রদর্শনী ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতার পর বেলা ১২টায় বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বেশকিছু জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়। বিকেল ৫টায় রাজভবনের ভিতরেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে৷ অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, পূর্ণদাস বাউলের মতো বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা৷
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রায় ২০০ জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় রাজভবনের তরফে৷ সেই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং রাজনৈতিক কোনও নেতার নাম নেই বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদাধিকারী৷ তাই তিনি রাজনীতির বাইরে থাকতে চাইছেন।