Water, Shilavati river, আবারো নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে শিলাবতী নদীর, চরম দুশ্চিন্তায় এলাকার মানুষ

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর: আবারো নিম্নচাপ। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাঠের সাঁকো ডুবেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে একাধিক গ্রামের। চরম দুশ্চিন্তায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। একাধিক জায়গায় শিলাবতী নদীর ভাঙ্গনে জল ঢোকার আশঙ্কা পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। শিলাবতী নদীর দুর্বল বাঁধগুলি ভাঙ্গার আশঙ্কা। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলাবতী নদী এলাকায় কাঠের সেতুটি জলে ডুবে গেছে। ঘাটাল ইতিমধ্যেই বন্যার জলে জলমগ্ন। তার উপর আবার এই নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং নদী বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কায় আবারো প্লাবনের আশঙ্কায় ঘাটালবাসী।পাশাপাশি কিছুদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। এই নিম্নচাপের প্রভাবে মৃৎশিল্পী থেকে মন্ডপ শিল্পীরা চরম দুশ্চিন্তায়। প্রতিমা সঠিক সময়ে মন্ডপে পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা। মন্ডপ শিল্পীরাও খুবই চিন্তিত যে সঠিক সময়ে মন্ডপ সজ্জা তুলে ধরতে পারবেন কিনা। ইতিমধ্যেই বাঁশ এবং কাঠামোর কাজ শেষের পর্যায়ে। নিম্নচাপের প্রভাবে বাড়ির মধ্যেই চলছে থিমের কারুকার্যের কাজ। প্রস্তুতি তুঙ্গে, তার মধ্যে অসুর হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। শাকসবজির দাম বেড়েছে। নিম্নচাপের বৃষ্টির ফলে নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা ধান জমি।

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার মলি ঘাঁটি ৭ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম এখনো ডুবে রয়েছে বন্যার জলে। প্রায় এক কোমর জল রয়েছে এই এলাকাগুলিতে। জনজীবন বিপর্যস্ত। ত্রাণ না পাওয়ায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষোভ। সরকারি ত্রাণ এখনো পর্যন্ত পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন চককৃপাণ গ্রামের অধিবাসীরা। সরকারি ত্রাণ সাহায্য না পেয়ে তারা ক্রমশ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপরেও। তাদের এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আসেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *