রাজেন রায়, কলকাতা, ৪ ডিসেম্বর:’ দিদিকে বলো’ ও ‘বাংলার গর্ব মমতা’ এবং সোজা বাংলায় বলছি কর্মসূচির পর এবার তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি ‘বঙ্গধ্বনি’। যেখানে জনপ্রতিনিধিরা মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছবেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে প্রায় ৪২,৬০০ গ্রামে তাদের পৌঁছতে হবে। আজ জানানো হয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর অবধি চলবে এই প্রচার কর্মসূচি। যেখানে জনসংযোগ করা হবে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, ছোট ছোট সভা করে। বিধায়কদের বলা হয়েছে প্রায় ৪২,৬০০ গ্রামে তাদের পৌঁছতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীও আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু করে দিচ্ছেন জনসংযোগ কর্মসূচি। ৭ ডিসেম্বর তাঁর মেদিনীপুর সফর, ৮ ডিসেম্বর প্রশাসনিক সভা রাণিগঞ্জে, ৯ ডিসেম্বর তার সভা বনগাঁয়, ১৩ ডিসেম্বর সভা নাগরাকাটায়, ১৪ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি, ১৫ ডিসেম্বর সভা হবে আলিপুরদুয়ার ও ১৬ ডিসেম্বর সভা হবে কোচবিহারে।
একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি মতোই এবার 8 ডিসেম্বর কৃষক আন্দোলনে ভারত বনধের ডাকে তৃণমূলও শামিল হবে বলে জানান তিনি। শুক্রবারই দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান’কে হরিয়ানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে পাঠিয়েছেন মমতা। নিজে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে ৮-১০ ডিসেম্বর গান্ধী মূর্তির নীচে অবস্থান করবে তৃণমূল। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ ডিসেম্বর হাজির থাকবেন গান্ধী মূর্তির নীচে। এই আন্দোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেচারাম মান্না ও মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে। অন্যদিকে ৮-১০ ডিসেম্বর শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস। কোল ইন্ডিয়া ভবনের সামনে হবে অবস্থান।
সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্য সাংগঠনিক বৈঠকে জানিয়েছেন, যারা দলবিরোধী কাজ করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা দলে থেকেও দল বিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলে থাকতে গেলে নিষ্ঠা মানতে হবে। প্রসঙ্গত, কাঁথি, হলদিয়া, নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অনুগামী সভাপতিদের সরাতে বলা হয়েছে। দলকে এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দলে থেকে দল বিরোধী কোনও কাজ করা যাবে না। যারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে তাদের তিনি ঘৃণা করেন না। ‘যারা আমার সাথে থাকতে চান তারা থাকুন। না হলে লুঠেরাদের কাছে চলে যান।’ তার অভিযোগ, বিজেপি এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। ভয় না পেয়ে তার সাথে লড়াই করুন।

