রাজেন রায়, কলকাতা, ৪ ডিসেম্বর: মন্ত্রী পদ ছেড়ে ও এখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এবং পরিবহন দপ্তর থেকে শুভেন্দুকে সরিয়ে দেওয়া হলেও শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এখনও অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ একদিকে তিনি এখনো বিজেপিতে যাবার কথা ঘোষণা করেননি আবার তৃণমূলেই রয়েছেন এমন কোনও নির্দিষ্ট বার্তা দেননি। তবে আগামী ৬ ডিসেম্বর তিনি কিছু বার্তা দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু ক্লোজড চ্যাপ্টার বলে বার্তা দিয়েছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। এবার শুভেন্দু ইস্যুতে দলকেই মান্যতা দিলেন আর এক তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুক্রবার তিনি জানান, “দলের উপরে কেউ নয়। জননেত্রীর জন্যে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত পোক্ত জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ব্যক্তি নয়, দলই আসল।” বৃহস্পতিবার রাতে বরাহনগরের একটি সভা থেকে সৌগত রায়ও বলেন, শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে ওর মুখ দর্শন করব না।’
বিধানসভা ভোটের সময় দল পুনর্গঠনে তার ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যেই বিদ্রোহী শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সরাসরি তিনি সেটা কখনোই স্বীকার করেননি। বেশ কয়েকমাস ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। হাজির থাকছিলেন না মন্ত্রিসভার বৈঠকেও। অরাজনৈতিক সভা করতেও দেখা যায় তাঁকে। তবে দুই তরফে কিছু সম্ভাবনা জিইয়ে রাখা হয়েছিল। শুভেন্দু কখনও তৃণমূল সুপ্রিমোর নাম করে একটিও বাঁকা মন্তব্য করেনি। তৃণমূলও তাঁকে বহিস্কারের পথে যায়নি। কিন্তু এখনও দলের অন্দরে যে অস্বস্তি স্পষ্ট, তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিধায়কের বক্তব্যে।