Humayun kabir, TMC, চ্যাংড়ামি! ১০ হাজার মাঠে নামলে বুঝবে, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

আমাদের ভারত, ২৭ সেপ্টেম্বর: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে বাংলা। ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়েছে। আপাতত এই কর্ম বিরতি উঠলেও পুজোয় ফের ময়দানে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আর তার প্রেক্ষিতেই আবার জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির বলে অভিযোগ। তাঁর হুমকি, ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে বাংলায় তিন কোটি তৃণমূলের ভোটার আছে। তার মধ্যে ১০ হাজার মাঠে নামলেই বুঝবে।
চিকিৎসক সংগঠন ও জুনিয়ার ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

দুর্গাপুজোর পর আবার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাদের অভিযোগ, এখনো সব দাবি পূরণ হয়নি। তার মধ্যে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়ার ডাক্তারদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য, ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভগবান বলা হয়। তারা সিগারেট দিয়ে নাচানাচি করছেন, ঢাকঢোল বাজাচ্ছেন, এটা কি চ্যাংড়ামো নয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমা লিপ্ত করতে বিরোধী দলগুলি এক হয়ে নোংরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার জুনিয়ার ডাক্তাররা। যারা আন্দোলনের নামে অসভ্যতা শুরু করেছেন। সংখ্যায় বিচার করলে দেখা যাবে জুনিয়ার ডাক্তাররা সারা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার। আমরা তিন কোটি তৃণমূল কর্মী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করবো। হাসপাতাল ঘেরাও করবো।

এর আগেও চিকিৎসকদের আন্দোলনের সমালোচনা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হুমায়ুন কবির। বিধায়কের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তারপরেও ভরতপুরের বিধায়ক তার অবস্থান থেকে সরছেন না বলে জানিয়েছেন। হুমায়ুন কবির বলছেন, আমি যে কথা বলেছিলাম আমি তাতেই স্থির আছি। আমার বক্তব্য একই থাকবে। আন্দোলন করতে গেলে সরকারি জায়গা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আন্দোলন করুন। সরকারের খাব এসিতে ঘুমাবো আর সরকারকে বিরম্বনায় ফেলবো আমি মানতে পারছি না। রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত করে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকে চ্যাংড়ামো বলে সম্বোধন করেছেন বিধায়ক।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের আন্দোলন নিয়ে কু-কথা বলা যাবে না। কিন্তু তারপরেও হুমায়ুন কবির জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে খারাপ ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *