শান্তিনিকেতনে ছাত্রী ও তার বাবা মাকে মারধর

আশিস মণ্ডল, শান্তিনিকেতন, ২২ নভেম্বর: ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিকের সাথে বিবাদ দীর্ঘদিনের। শেষমেশ বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রী। সেই মতো বাড়ি থেকে আসবাবপত্র বের করতে গেলে বাড়ি মালিকের হাতে প্রহৃত হন বিশ্বভারতীর এক ছাত্রী ও তার বাবা মা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কন্যাকি দাস বছর খানেক আগে শান্তিনিকেতনের রতনপল্লীতে অমিতাভ দাশগুপ্ত–ফল্গুশ্রী দাশগুপ্তর বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। ছাত্রীর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির মালিকের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে অশান্তি চলছিল। রবিবার সকালে সেই বিবাদ চূড়ান্ত আকার নেয়। মেয়ের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে বাবা মা সিদ্ধান্ত নেয় ওই বাড়ি ছেড়ে দেবে। সেই মতো এদিন ছাত্রী তার বাবা মাকে নিয়ে এই বাড়িতে মালপত্র নিতে যায়। সে সময় বাড়ি মালিক চুক্তিপত্রে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির মাঝেই বাড়ির মালিক লাঠি দিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে বিশ্বভারতীর ওই ছাত্রীর পরিবার আশ্রয় নেয় শান্তিনিকেতন থানায়। শান্তিনিকেতন থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছে ওই ছাত্রী পরিবার।

শান্তিনিকেতন থানা তদন্তে নেমেছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা। সহপাঠী সোমনাথ সৌ বলেন, “বিষয়টি আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানি। এনিয়ে থানায় একাধিকবার জানানো হয়েছিল। শেষে সহপাঠী বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো এদিন বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বের করছিল। তখনই মারধর করে বাড়ি মালিক। আমরা উপযুক্ত তদন্তের দাবি করছি। তা না হলে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য নষ্ট হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *