অমরজিৎ দে, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৮ ডিসেম্বর:
দিনে দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের বাছুরডোবা এলাকা। পুলিশের উপস্থিতিতে ঝাড়গ্রামের ইয়ং ইলেভেন মাঠে ঝাড়গ্রাম প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেট খেলায় চলল গুলি। গুলি চলার পর এলাকা রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়। অভিযোগ, বিশ্বজিৎ গুরুং নামে স্থানীয় এক যুবক পেশায় জুনিয়র কনস্টেবল খেলার মাঠে পুরোনো বচসার জেরে সেক তকব্বির আলী নামে স্থানীয় এক যুবককে দুটি পিস্তল বের করে গুলি করে। আহত যুবককে এলাকার মানুষজন তড়িঘড়ি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনার পরেই এলাকা রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়।
অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভারত রাঠোর গত তিনদিন আগে ঝাড়গ্রাম প্রিমিয়াম লিগ নামে এই ক্রিকেট খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনের পর প্রতিটি খেলায় পুলিশ কর্মীদের অবস্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিনও খেলার মাঠে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিল। পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতেই কিভাবে একজন পুলিশ কর্মী গুলি চালালেন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম শহর এবং শহরতলি এলাকায় আইনের শাসন অনেকটা শিথিল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ শুধুমাত্র বালি এবং মোরাম খাদান থেকে তোলা তুলতেই ব্যস্ত। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি ভাঙ্গচুর চালানো হয়। শেষমেশ পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।
আহত যুবকের ভাই সেক তকবির আলি বলেন, আজ আমরা খেলা দেখছিলাম। সেই সময় ন্যাড়া ওরফে বিশ্বজিত একটি পুরোনো বচসার জেরে আমার দাদার মাথায় গুলি করে। সেই সময় বিশ্বজিতের বাবাও মাঠে উপস্থিত ছিলেন। তার সামনে আমার দাদাকে গুলি করে।আমরা সকলেই ভয়ে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাই। তারপরে স্থানীয়রা আমার দাদাকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন কেমন আছে দাদা জানি না।