সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১২ ফেব্রুয়ারি: কথাতেই আছে ঘন্টা বাঁধবে কে? বাঁকুড়া শহরজুড়ে বিশেষ করে লালবাজার, রানীগঞ্জ মোড় থেকে মাচানতলা, পোস্ট অফিস, মিনিমার্কেট, মসজিদ গোড়া এলাকায় রাস্তাজুড়ে চলছে ব্যবসা। রাস্তাজুড়ে হকারদের দাপট তো আছেই তার উপর একশ্রেণির ব্যবসায়ী দোকানের সামনের রাস্তায় দোকানের পসরা সাজিয়ে রাখেন খদ্দেরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। এরফলে পুরো রাস্তা জবরদখল, আর রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গাড়ি, বাইক নিয়ে যাওয়া তো দুষ্কর বটেই পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতেও বেগ পেতে হয়।
দিনের অধিকাংশ সময়ই যানজট লেগেই আছে। শহরের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা দূর করা যে খুব কষ্টসাধ্য তাও নয়। কেননা বেশ কিছু দোকানদার রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন এটা তো পরিষ্কার। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে শাসক দল সবাই নিশ্চুপ। পথে- ঘাটে, সভা- সমিতিতে এরা শহরবাসীর অসুবিধার কথা চিন্তা করে গলা ফাটায়, আবার জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালালে এরা বাধা দেন।প্রকাশ্যে না হলেও প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়।কারণ ব্যবসায়ীরা অসন্তষ্টু হবেন, ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তা হলে ঘন্টা বাঁধবে কে?
স্হানীয় অধিবাসীদের বক্তব্য, রাস্তা দখলকরে যারা ব্যবসা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে জরিমানা, মামলা দায়ের করলেই ফল মিলবে সন্দেহ নেই। আরোও সহজ ভাবেও মোকাবেলা করা যায়, রাস্তা থেকে দখলদারদের হঠাতে স্হানীয় কাউন্সিলরকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে নিজেকে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কিন্তু ভোট হারানোর ভয়ে সবাই নিশ্চুপ।