আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৩ মার্চ: খাবারে রং মেশানোর অভিযোগে কয়েকজন দোকানিকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠল খাদ্য সুরক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, সাঁইথিয়া থানার আহমদপুরে।
বৃহস্পতিবার ওই এলাকার খাবারের দোকানে পরিদর্শনে যান জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে বেশ কিছু দোকানের ফ্রিজে দু-তিন দিনের পুরনো মাংস, মিষ্টি, তেলে ভাজা দেখতে পান। আধিকারিকরা সেই সমস্ত জিনিস নষ্ট করে দেন। এরপর লক্ষ্য করেন খাবারে মেশানো হচ্ছে নিম্নমানের রং। যে রং খাবারে মেশানো হচ্ছে সেটা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ক্ষতিকারক রং হাতেনাতে ধরা পড়ার পর কয়েকজন দোকানিকে কান ধরে ওঠবস করান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ঘটনার বিরোধিতা করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী সুভাষ সাহু বলেন, “আমার দোকানে কামধেনু রং পেয়েছিল। সেই অপরাধে আমাকে বেশ কয়েকবার কান ধরে ওঠবস করিয়েছে। শুধু আমাকে নয়, বেশ কয়েকজন দোকানিকে একই শাস্তি দিয়েছে”।
সিউড়ি মার্চেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “খাবারে কোনো রং মিশিয়ে থাকলে দোকানদারকে জরিমানা করতে পারেন। নোটিশ দিতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজে হাতে কোনো শাস্তি দিতে পারেন না। বিষয়টির আমরা নিন্দা করছি। সঠিক জায়গায় আমরা অভিযোগ জানাবো।”
জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেঞ্জিত বটব্যাল বলেন, “যে ভাবে মানুষের শরীরে রং ঢুকছে তাতে মানুষের শরীরের ক্যান্সার এবং অসঙ্ক্রামিত রোগ বাসা বাঁধছে। ওই দোকানি আমাদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তারা বলতে থাকে দামি রং দিতে পারবো না। লোক চাইছে তাই কমা রং দিয়েই খাবার তৈরি করবো। আমরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। প্রথমে সাবধান করা হচ্ছে। পরে তাদের নোটিশ করা হবে। তারপর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”