আমাদের ভারত, ২৮ মার্চ: মালদা জেলার মোথাবাড়িতে হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হলো বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও পোস্ট করে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এই একই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, এর শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কিছু যুবক ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করে এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার পাশে বেশকিছু দোকান ভাঙ্গা হয়েছে। অন্য ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ি ভাঙ্গচুর করছে বেশ কিছু যুবক। সুকান্তবাবু লিখেছেন, “তোষণ সর্বস্ব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজ দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০টি দোকান ভেঙ্গে লুট করা হয়েছে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তা দখল নিয়ে যথেচ্ছ গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা রক্তাক্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনো পুলিশের দেখা নেই। সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলেছেন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, “বাংলার নিপীড়িত, অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় ও তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ,।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনিও একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “তোষণ বাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছেন। মালদা জেলার মোথাবাড়ি অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙ্গচুর ও লুট করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছারে কিভাবে গাড়ি ভাঙ্গচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে নিধিরাম সর্দারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতার পুলিশকে দেখুন হাতজোড় করে যেন করুণা প্রার্থনা করছে।”
শুভেন্দু অধিকারী আরো লিখেছেন, সংখ্যালঘু পোষণ করতে করতে গ্রেটার বাংলাদেশের ব্লু প্রিন্ট ক্রমশ বাস্তবায়ন করার পথে চলছে তোলামূল সরকার। তবে তিনি সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, “আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়বো। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একইভাবে এদেরকেও শিক্ষা দেব।”