আমাদের ভারত, ৭ ফেব্রুয়ারি: ভূপতিনগর, ডায়মন্ড হারবার, চম্পাহাটিতেও এর আগে একইভাবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তারপরও কোথায় সতর্কতা? শুক্রবার কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় বাজি কারখানার বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত চার জনের মৃত্যুর পর আমজনতার মধ্যে এই প্রশ্ন উঠেছে।
আদৌ কি কোনও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়? উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাজি কারখানাগুলি নিয়ে রাজ্যে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে চলে বাজি কারখানা। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় এই সব কারখানা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি খুব একটা। পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্য সরকারের তরফেও আগে এরকম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এবার কল্যাণীর কারখানা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জনপ্রতিনিধিরা একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিষ্কৃতি পাওয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় বিধায়ক অম্বিকা রায়ের বক্তব্য, পুলিশ সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিধায়ক বলেন, “এরকম কিছু ঘটনা ঘটলে, তখন পুলিশ ব্যবস্থা করে। সবটাই জানত পুলিশ। ভগবানের ভরসায় আছি। আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।”
আবার, কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তীর দাবি, এমন কোনও কারখানার কথা জানাই ছিল না তাঁর। এদিন বিস্ফোরণ হওয়ার পর জানতে পারলেন সবটা। তবে তিনি বলছেন, ‘এটা কোনও কারখানা নয়। একটা বাড়ির মধ্যে চলছিল।’
উল্লেখ্য, গত ২০২৩-এ খাদিকুলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। ওই বছরেই বজবজে একইভাবে তিনজনের মৃত্যু হয়, ইংরেজবাজারে মৃত্যু হয় দু’জনের, নীলগঞ্জে ৯ জনের মৃত্যু হয়। তারপরও কি টনক নড়ল না প্রশাসনের?