আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ২৬ জানুয়ারি: পুলিশের চাকরি মানেই যে শারীরিক কসরত তা বুঝিয়ে দিল রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক একাদশ। আর মহকুমা শাসক একাদশের কাছে হেরে মাঠেঘাটে কাজ করা সাংবাদিকদের ল্যাজে গোবরে অবস্থা। ৭২তম স্বাধীনতা দিবসের এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রামপুরহাট মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও সাংবাদিক একাদশ নিয়ে মোট তিনটি দলের খেলা হয়। প্রথম ব্যাট করতে নেমে সাংবাদিক একাদশ ৬ ওভারে ৪২ রান করে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক একাদশ ৭ উইকেট হাতে থাকতেই সেই রান তুলে নেয়। এরপর মহকুমা শাসক একাদশের সঙ্গে খেলায় তাদের ৪৯ রানা তাড়া করতে নেমে ১৯ রানেই সাংবাদিকদের সকলকে মাঠ ছাড়তে হয়। অন্যদিকে মহকুমা শাসক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকদের প্রথম খেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭০ রানের টার্গেট বেঁধে দেয়। কিন্তু ৬০ রানেই মহকুমা শাসক একাদশের সব উইকেট পড়ে যায়। ফাইনালে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক একাদশ ব্যাট করতে নেমে ৯৬ রানের গণ্ডি খাড়া করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে
৬১ রানে গুটিয়ে যায় মহকুমা শাসক একাদশ। ফলে মহকুমা শাসক এবং সাংবাদিকদের হারিয়ে জয়ের ট্রফি হাতে তুলে নেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক একাদশের টিম। ট্রফি জয়ের সঙ্গে পুলিশ প্রমান দিয়েছে শুধু অফিসে বসে নয় মাঠেঘাটে ছোটেন তাঁরাই।
এদিনের খেলায় আম্পায়ার ছিলেন পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায়, প্রসেঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস দেবাংশী ও বরুণ মণ্ডল। স্কোরার ছিলেন অগ্নীশ্বর দাস।