Sukanta, BJP, এই রায়ে বাংলার মানুষ খুশি নয়, আর জি কর মামলায় সঞ্জয়ের শাস্তি প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি: আর জি কর- এ তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ফাঁসি নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এই নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কোর্টের নির্দেশের উপর আমরা কিছু বলতে পারি না। কিন্তু এই রায়ে বাংলার মানুষ খুশি নয়।

বিষাক্ত স্যালাইনে প্রসূতি মা এবং শিশু মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আজ বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই আর জি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের শাস্তির প্রসঙ্গে উঠে আসে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে। তিনি বলেন, এই রায়ে বাংলার মানুষ কেন ভারতবর্ষের কোনো মানুষ খুশি নয়। ৫ দিন ধরে যখন কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্তভার ছিল সেই সময়ে সবটা ছিল বিনীত গোয়েলের হাতে। আর তার ট্র্যাক রেকর্ড আমরা জানি। কামদুনি কান্ডে যখন সর্বোচ্চ সাজা হয়েছিল, সেই তদন্ত করেছিল রাজ্যের পুলিশ। বিনীত গোয়েল দেখেছিলেন সবটা কিন্তু তখন ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট থেকে সব অভিযুক্তরাই মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল। কামদুনি কান্ডের মূল অভিযুক্তরা সবাই মুক্তি পেয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভাজাইনা সোয়াবকে সংরক্ষণ করা হয়নি কলকাতা পুলিশের তরফে। অথচ আধুনিক তদন্ত প্রক্রিয়ায় এটা সবচেয়ে বড় তথ্য প্রমাণ এই ধরণের ঘটনায়। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৫ দিন পরে সিবিআই- এর হাতে যে তথ্য প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। কলকাতা পুলিশ ক্রাইম সিনের গরু চরানোর মাঠে পরিণত করেছিল। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, তবুও আমরা আশা করেছিলাম। আমরা চাইছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। সেই শাস্তি হয়নি। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারব না। ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাকায় কি হবে? আরও তদন্তের প্রয়োজন।

আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। তবে অনেকের মতেই একলা সঞ্জয় এই ঘটনায় জড়িত ছিল এমনটা হতে পারে না। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কারা জড়িত তা প্রকাশ্যে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, গোটা দেশ থেকে দাবি উঠেছিল সঞ্জয়ের ফাঁসি হোক, তবে আদালত অবশ্য তার ফাঁসির নির্দেশ দেয়নি, তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণে নির্দেশ দেন বিচারক। তবে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ক্ষতিপূরণ নয়, আমরা বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *