সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৩ মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের পূর্বতন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের নাম ঘোষণা হতেই
জেলাজুড়ে দলীয় কর্মী মহলে উচ্ছ্বাস দেখা দিলেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলেরই একাংশে। যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রথম দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকায় বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে ডাঃ সুভাষ সরকারকে পুনরায় প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। সুভাষবাবুকে দ্বিতীয় বারের জন্য মনোনীত করা হবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি গত সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একদল কর্মী সুভাষবাবুকে তালা দিয়ে আটক রেখে দেয়, যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়।এছাড়াও দলীয় নেতা কর্মীদের বিশেষ পাত্তা দেন না বলেও অভিযোগ ছিল। সে কারণেই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিকল্প প্রার্থীর দাবি তুলেছেন।সে কারণেই একটা সংশয়ের বাতাবরণ তৈরী হয়েছিল। কিন্ত গতকাল তার নাম প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ায় সুভাষবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল যেমন স্বস্তি পান তেমনি বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
গতকাল যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে তা দলীয় স্তরে সকলেরই জানা। তালিকা প্রকাশের ঠিক আগেই একদল ক্ষুব্ধ কর্মী বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা মোড়ে সুভাষবাবুর ছবিতে কালি দিয়ে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তারা দলের নির্ভীক ও একনিষ্ঠ কর্মী। গত লোকসভা নির্বাচনে তারা জানপ্রাণ দিয়ে খেটে সুভাষবাবুকে প্রায় দু’ লাখের কাছাকাছি মার্জিনে জিতিয়েছেন। কিন্তু সুভাষবাবু সবক্ষেত্রেই তাদের হতাশ করেছেন। আমাদের মত কর্মীদের শুধু নয়, দলের নেতা কর্মীদের তিনি গুরুত্ব দেন না।সাংসদ হিসাবে তিনি জেলার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন এরকম আশা করেছিলাম। সেক্ষেত্রেও তিনি ব্যর্থ। যার জন্য শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নন, সাধারণ মানুষও বীতশ্রদ্ধ। কাজেই প্রার্থী বদল করা না হলে এই আসন ধরে রাখা যাবে না।
অপরদিকে সুভাষবাবুকে মনোনীত করায় দলীয় মহলে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।গতকাল রাতেই উচ্ছ্বসিত কর্মীরা দেওয়াল লিখনে নেমে পড়ে। তাদের আশা, গতবারের চেয়েও এবার বেশি ভোটে জিতবেন। তাদের যুক্তি মোদী সরকারের সাফল্য, রামমন্দির তৈরী, সেই সাথে সুভাষবাবুর সাংসদ হিসাবে সফলতা বাঁকুড়ার মানুষ তাকে দ্বিতীয় বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত করবেন।