আমাদের ভারত, ৩ মার্চ: বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্রো মেদিনী। প্রধানমন্ত্রী এই বার্তাই আমাদের দিয়ে গেছেন, তাই ৪২ এ ৪২ এর জন্য আমরা লড়াই চালাবো। গতবারের তুলনায় এবার আমরা বেশি আসন পাব। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, দ্বিফলা প্রচারেই আসবে সাফল্য। মোদী সরকারের সাফল্যের মডেল ও তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি ও অত্যাচারের কথা তুলে ধরে চলবে প্রচার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, গতবার আমরা যে সংখ্যায় আসন পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিতেছিলাম তার থেকে বেশি সংখ্যায় আসন প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গ বিজেপি উপহার দেবে। তাঁর দাবি, তাদের সংগঠনের বুথের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। ১৯- এর তুলনায় অনেক বেশি বুথে তাদের লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, গত দু’দিন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল নজর কাড়া। তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে। যে সমাজকে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ভোট ব্যাঙ্ক মনে করে সেই সমাজও তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দূরে সরে আসছে। আগামী দিনে আরো দূরে সরে যাবে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি রণে- বনে- জলে- জঙ্গলে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতি। শুধুমাত্র অন্তরীক্ষে যেতে পারে না ওরা, তাই ওইটুকুই বাকি আছে। এছাড়াও তাঁর মতে, সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যে ধরনের অত্যাচার হয়েছে তাতে মহিলারা ক্ষুব্ধ তৃণমূলের উপর। গত দু’দিন বিজেপির জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চোরেদের সাম্রাজ্য কিভাবে শেষ হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কোর্টের নির্দেশে নিরপেক্ষ তদন্ত করছে সিবিআই। তাঁর কথায়, লুটের টাকা তৃণমূলকে দিয়ে ফেরত দেওয়াবোই আমরা। শেখ শাহজাহানকে আমরা গ্রেপ্তার করতে বাধ্য করেছি। এরপর বাকিদেরকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। শেখ শাহজাহান দিয়ে সবে শুরু হয়েছে। এটা শেষ নয়, এখনো সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান বাহিনীর লোকেরা ঘুরছে। কয়েক হাজার শেখ শাহজাহানকে তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সবের শেষ হতে হবে। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে মহিলারা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করেছেন। এটা জনরোষ ছিল। রোজ যেখানে নারীদের উপর অত্যাচার হয়, সেখানে রাজার ধ্বংস অনিবার্য। এই হীরক রানীরও ধ্বংস হবে।