মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গেই, দু’দিনের জন্য এসে কিচ্ছু করতে পারবেন না অমিত শাহ, কটাক্ষ ফিরহাদের

রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর: রাজ্যে প্রত্যেক সম্প্রদায় কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আছে তা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। একদিকে বিজেপি যেমন রাজ্যে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক ধরতে মরিয়া, ঠিক তেমনই হিন্দুদের সঙ্গে মুসলিম এবং মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের পক্ষে রেখে বিধানসভার বৈতরণী পার করতে মরিয়া তৃণমূল। এর মধ্যেই দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তিনি এসে দুদিনে কিছুই করতে পারবেন না বলে কটাক্ষ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠে গিয়েছে। তাই অমিত শাহের ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। এরমধ্যে শনিবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে জান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁরও ঠাকুরনগরে যাওয়ার কথা। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক জয় করতে এভাবেই পরিকল্পনামাফিক এগোতে চাইছে বিজেপি।

আর এই নিয়েই এদিন ফিরহাদ হাকিম কটাক্ষ করে বলেন, ‘মতুয়াদের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সম্পর্ক বরাবরের জন্যই ভালো। মতুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কিছুই করেছেন। সেখানে ইউনিভার্সিটি, ঘাট, এমনকি বড়মার জন্য অনেক কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এলেন দেখলেন জয় করলেন চলবে না।’ এরপরেই তার কটাক্ষ, ‘যা করবেন তা শুধু লাফালাফি এবং তা নিয়ে নানা মিডিয়াতেও দেখানো হবে। এলাম দেখলাম জয় করলাম বিষয়টি মোটেও নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বরাবরের জন্যই মতুয়া সংগঠনের সম্পর্ক ভালো এবং আগামীদিনেও তারা তৃণমূল সরকারের সঙ্গে আছে।‘

শনিবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মন্দিরে যান। কৈলাস বলেন, ’শুধু দেখা করতে এলাম। ঠাকুর দর্শন করতে এলাম। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে এসেছি।’ সূত্রের খবর, তিনি শান্তনুবাবুকে আশ্বস্ত করেছেন, যত শীঘ্র সম্ভব নাগরিকত্ব আইনের রূপায়ণ হবে। আর মতুয়াদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *