আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি: গত কয়েকদিন ধরে আগুন জ্বলছে সন্দেশখালিতে। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মহিলারা। লাগাতার বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তারা। মহিলাদের এই আন্দোলনের ফলে কোণঠাসা হয়েছেন উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার মতো তৃণমূলের নেতারা। অভিযোগ উঠেছে দিনের পর দিন মহিলাদের উপর অকথ্য নির্যাতন চলছে সেখানে। রাতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মহিলাদের। রাগে গর্জে উঠেছে সন্দেশখালি। এক মহিলা বলেছেন, বাড়ির মেয়েদের কোনো সম্মান দেয় না ওরা। রাত সাড়ে দশটার সময়ও মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টি অফিসে। এহেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠতেই সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপালকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে।
রাজ্যের শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বিগত কয়েকদিন ধরে গর্জে উঠেছে সন্দেশখালির স্থানীয় মানুষ। আগুনে জ্বলছে, ছাড়খাড় হয়েছে উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের একের পর এক পোল্ট্রি ফার্ম, বাড়ি ঘর। কয়েকজন গ্রামবাসীকে ইতিমধ্যেই পুলিশ আটক করেছে। উত্তেজনার আবহাওয়ায় শনিবার থেকে সন্দেশখালিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ওই এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তাতে ক্ষোভের আগুন আরো বেড়েছে। সন্দেশখালিতে আরো এক আন্দোলনকারী মহিলা বলছেন, পুলিশ গেছে তাদের মারধর করে হাতের শাখা, পলা ভেঙ্গে দিয়েছে। তারা ন্যায় চাইছে, পুলিশের শাস্তি চাইছে।
এদিকে সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি তুলে সকালে রাজভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। ২৪ ঘন্টা সময়ও বেঁধে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল পদক্ষেপ না করলে সোমবারই তারা ১৪৪ ধারা ভেঙে সন্দেশখালি যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।