আমাদের ভারত, নদিয়া, ৬ জুলাই: কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে অনন্যা এবং বলছে, “আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন”।
দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে কৃষ্ণনগরের একটি রেস্তরায়। ২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল মাদার্স হাট। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেঁস্তোরার সমকক্ষে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা সে এক অজানা কাহিনী।
যখন প্রথম শুরু হয়েছিল এই রেস্তোরাঁ তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। যার বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেঁস্তোরার তিন মহিলার মধ্যে দু’জনেই কাজ ছেড়ে চলে যায় কিন্তু থেকে যায় অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ মাদার্স হাট পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যাকে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে চলেছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে। রেঁস্তোরাতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যাকে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত মাদার্স হাট রেঁস্তোরার বর্তমান মূল আকর্ষণ অনন্যা নামের এই রোবট।