আমাদের ভারত, বনগাঁ, ৩০ ডিসেম্বর: পাওনাদারদের মারধরের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাঁশের আঘাতে মৃত্যু হল বাবার। গুরুতর জখম মৃতের স্ত্রী ও ছেলে। আহতরা বর্তমানে বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণ পল্লি এলাকায়। ইতিমধ্যেই বনগাঁ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের নাম জিতেন শিকদার, আহত রাজু শিকদার ও তার মা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত
জিতেন শিকদারের ছেলে রাজু মাদকাসক্ত
ছিলেন। নিয়মিত নেশা করতেন তিনি।এলাকার বেশ কিছু যুবকের কাছে মাদকদ্রব্য
বিক্রিও করতেন।শনিবার সেই মাদকের টাকাপয়সা নিয়ে কয়েকজন যুবক রাজুর বাড়িতে চড়াও হয়ে অশান্তি
করে। সাময়িকভাবে সেই অশান্তি
মিটেও যায়। এরপর রবিবার রাতে ফের
রাজুর বাড়িতে হানা দেয় অভিযুক্তরা। বেধড়ক মারধর করা হয় রাজুকে। বাঁচাতে গেলে মারধর করা হয় রাজুর বাবা বছর
পঁচাশির জিতেন বাবুকে।বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্তহন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে রাজু।চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তিন অভিযুক্তকে ধরে ফেলে।
এরপর গুরুতর জখম
অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জিতেন
বাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।বাকি দু’জন ওই হাসপাতালেচিকিৎসাধীন।
রাজুর দিদি সাধনা
বিশ্বাস বলেন, “বাঁশ নিয়ে রাজুর উপরে
চড়াও হয়ে মারধর করতে
থাকে কয়েকজন। বাবা, মা ভাইকে বাঁচাতে
গেলে লাঠি-বাঁশ দিয়ে মা ও বাবার মাথায় আঘাত করে তারা৷”
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দুই
অভিযু্ক্তকে পুলিশের হাত
তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছেতদন্ত। ঠিক কী কারণে এই আক্রমণ তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।