পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ মার্চ: দীর্ঘ দশ বছর বাদে মেদিনীপুর শহরের মেদিনীপুর পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন। সন্ত্রাসের অভিযোগে যা বয়কট করলো বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। অন্যদিকে শাসক দলের নেতাদের মতে নির্বাচন নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর পিপলস কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনের নমিনেশনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল শহরে, যা শহরের ইতিহাসে প্রথম বলেই দাবি করেছিলেন শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। আর তারপর কোর্টের নির্দেশ নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক ফন্টের ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র চারজন প্রার্থী নমিনেশন জমা দিয়েছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে বাকিদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসনের রিটার্নিং অফিসারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। আর তার ফলেই নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন ফ্রন্টের সদস্যরা। আর সেই মতো এদিন নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন ফ্রন্টের সদস্যরা। যদিও নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। কড়া পুলিশি প্রহরায় নির্বিঘ্নে নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের।
সিপিএম নেতা কীর্তি দে বক্সি এবং সুকুমার আচার্য জানান, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। পুলিশ দিয়ে, সমাজবিরোধী দিয়ে জোর করে ভোট লুট করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে ভোট লুট করে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল।
যদিও তৃণমূল নেতা তথা পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুকুমার পড়িয়া জানান, মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৪৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁরা জয়ী হয়েছেন। এদিন আরো ৪টি মিলিয়ে মোট ৫১টি আসনেই জয়ী হলেন। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। মুখ্যমন্ত্রী সমবায় ব্যাঙ্কগুলির জন্য প্রচুর কাজ করেছেন।