বড় খবর! ২০২১ সালের নির্বাচন হবে দৃষ্টান্তমূলক, বললেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর

আমাদের ভারত, হাওড়া, ৩ মার্চ: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এজন্য সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে যা যা করার তাই করবেন, এই বলে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আশ্বাস দিলেন তিনি।

আজ রাজ্যপাল বলেন, কোনো ময়নাতদন্ত নয়, তিনি বিশ্বাস করেন সতর্কতামূলক ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে। আগামী পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি এমনই মত পোষণ করলেন। বাউড়িয়ার চেঙ্গাইল হাইস্কুলের এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই মত জানান। আগামী পুরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখার ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরে আস্থা রেখেছেন।

রাজ্যপাল বলেন, বিগত ২০১৩ ও ২০১৮ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ায় ক্ষেত্রে বদনাম হয়েছে। গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রতি দফায় হিংসা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি চিন্তিত। আমি সবসময় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দাবি করে এসেছি। আমি ময়নাতদন্তে বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি হিংসা রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় ও সতর্কতায়। তবে সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে সংবিধান রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আশ্বস্ত করছি আগামী ২০২১ সালের নির্বাচন দৃষ্টান্তমূলক হবে। প্রত্যেকে যাতে ভোট দিতে পারে সেজন্য সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমি তা নেব। আগামী পুরনির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরসভা ভোট নিয়ে আমি কমিশনারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। কমিশন এবং সরকার কেউ কারো উপর খবরদারি না করে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছি।

হিংসার বিরুদ্ধেও তিনি এদিন সুর চড়ান। তিনি বলেন, হিংসা সবসময়ই গণতন্ত্র বিরোধী, মানবতা বিরোধী ও আইনের শাসনের বিরোধী। পাশাপাশি হিংসা নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকেও বিঁধেছেন। রাজ্যে বাড়তে থাকা হিংসা নিয়ে তিনি চিন্তিত বলেও মন্তব্য করেন। রাজ্যপাল বলেন, হিংসাকে আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায় না। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে হিংসা হয়েছে। জলপাইগুড়ির হিংসা নিয়ে আমি মর্মাহত। হিংসা গণতন্ত্র ও দেশকে ধ্বংস করে।

এদিন রাজ্যপাল পুলওয়ামায় শহীদ জওয়ান বাবলু সাঁতরার বাড়ি যান। তাদের পরিবারের লোকেদের সহমর্মিতা জানান। বাবলুর পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দেন। তিনি বাবলুর ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১২টা নাগাদ বাবলুর বাড়িতে আসেন। প্রায় আধ ঘণ্টা সেখানে কাটান। বাবলুর স্ত্রী মিতা সাঁতরা বলেন, রাজ্যপাল আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *