পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৭ অক্টোবর: কেলাঘাট, পাঁশকুড়া ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার জলবন্দি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ সকাল ১১টায় রামতারকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক সেচ সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সোয়াদিঘি খাল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের দলে জেলাশাসক ছাড়া ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন), মহকুমা শাসক(তমলুক), সেচ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সহ সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলির বিডিও’রা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বেরা।
জেলাশাসক কোথাও পায়ে হেঁটে বা কোথাও সাইকেলে করে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের রামতারক থেকে মেছেদা-তমলুক রাজ্য সড়কের নোনাকুড়ি পর্যন্ত খাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সামগ্রিকভাবে মূল সোয়াদিঘি খাল সহ শাখা খালগুলির পূর্ণ সংস্কারের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবার জন্য দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেন জেলা শাসক। এ বিষয়ে আগামী ১৪ অক্টোবর সোমবার জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের কথাও ঘোষণা করেন উনি। এবং কাল থেকে খালের যে অংশে জল নিকাশীতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, সেই অংশগুলি পরিষ্কার করবার জন্য দশটি মেশিন নামিয়ে আগামী কয়েকদিন পরিস্কারের কাজ করে নিকাশী স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন জেলা শাসক, সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে।
আন্দোলনকারী সংগঠন সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও মধুসূদন বেরা বলেন, চলতি বর্ষায় তমলুক মহকুমার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের প্রায় শতাধিক মৌজা মাসাধিক কাল ধরে জলবন্দি হয়ে রয়েছে। কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পাঁশকুড়ার বন্যার জল এই খাল দিয়েই রূপনারায়ণে বের হচ্ছে। ওই এলাকার অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাগুলি আজো জলের তলায়। দীর্ঘদিন ওই জল জমে থাকায় আগাছা পচে ওই জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বাড়ছে। পুজোর আগে ওই জমা জল বের করার দাবিতে কমিটি দুটির পক্ষ থেকে গত ৩ অক্টোবর কোলাঘাট বিডিও অফিস এবং তমলুক সেচ দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন জলবন্দিরা। আজ কমিটি দুটির পক্ষ থেকে ওই সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় জেলাশাসকের হাতে।