আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১ আগস্ট: পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে এবার চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন এক ব্যবসায়ী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ রামপুরহাট ব্যবসায়ী সমিতিও। সংগঠনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও দুষ্কৃতীর হদিশ করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি খোয়া যাওয়া টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে, চলতি বছরের ১১ জুন গভীর রাতে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বীরভূমের রামপুরহাট শহরের মাড়গ্রাম মোড়ে।
ওই এলাকায় রাহুল টেডার্স ও রেখা গুপ্তা নামে একটি চালের আড়ৎ রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো ১০ জুন রাতে দোকানের মালিক অনীশ গুপ্তা দোকান বন্ধ করে দোকানের উপর তলায় নিজের বাড়িতে চলে যান। সকালে তাঁর বাবা অশোক গুপ্তা দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা। এরপরেই ক্যাশ বাক্সের দিকে নজর যায়। সব কিছু ওলটপালট হয়ে রয়েছে। এরপরেই তিনি ছেলেকে ডেকে পাঠান। অনীশ গুপ্তা গিয়ে দেখেন আগের দিন সন্ধে পর্যন্ত কেনাবেচার ১২ লক্ষ টাকা নেই। এরপরেই সিসিটিভি দেখে চুরির ঘটনা সামনে আসে। সিসিটিভিতে চোরের ছবিও ধরা পরে। পরিবারের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় রামপুরহাট থানায়। পুলিশের হাতে সিসিটিভির ছবি দেওয়া হয়। এক দুষ্কৃতীর ছবি স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশের কাছে অধরা দুষ্কৃতী। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন চাল ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে লিখিত প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা পুলিশ সুপারকে।
অনীশ গুপ্তা বলেন, “ব্যবসার মোটা অঙ্কের টাকা খোয়া যাওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। অর্থাভাবে ঠিক মতো ব্যবসা চালাতে পারছি না। আমরা পুলিশের কাছে বার বারও আবেদন করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে স্থানীয় পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলাম। আমরা জানি উনি মানব দরদি। আমাদের বিশ্বাস উনি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করাবেন”।