আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২২ মার্চ: করোনার জেরে বাংলাদেশে গৃহবন্দি হয়ে থাকা বালুরঘাটের ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে ভারতে ফেরালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেই জরুরি ভিত্তিতে ফেরানো হয়েছে দেশে, জানালেন সাংসদ। শনিবার বিকেলে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন ব্যবসায়ী সুপ্রকাশ সরকার ও তার ছোট্ট ছেলে শায়ন সরকার। সীমান্তে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করা হলেও আগামী ১৪ দিন গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বেড়াতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশে গৃহবন্দি হয়ে পড়া আতঙ্কিত ওই ব্যবসায়ী ওইদিন বাড়িতে ফিরেই সংবাদমাধ্যম ও ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। একই সাথে এব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য বালুরঘাটের সাংসদকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন চকভৃগুর ওই ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, বৈধ পাসপোর্ট করে গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশের বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার হাটুয়া গ্রামে এক আত্মীয় পিন্টু সরকারের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বালুরঘাটের চকভৃগুর বাসিন্দা সুপ্রকাশ সরকার। সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলে শায়ন সরকারও। এর মাঝেই করোনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চরম আতঙ্কের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতেই বিপদে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে পাসপোর্ট কেড়ে নেবার পাশাপাশি ঘরের বাইরে যাবার কারণে ভারতীয় ওই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সরকার বলে অভিযোগ। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গৃহবন্দি হয়ে থাকার নির্দেশিকাও জারি করা হয় সেদেশের প্রশাসনের তরফে। যার পরেই কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে তাকে উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন ওই ব্যবসায়ী। যে খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতেই ওই ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় বালুরঘাটের সংসদ সুকান্ত মজুমদার। জানাগেছে, এরপরেই সাংসদ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলেন বিদেশ মন্ত্রকের সাথে। যেখানে করোনা নিয়ে জারি করা জরুরি নম্বরে যোগাযোগ করেই ওই ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর যার পরেই বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন ওই ব্যবসায়ী ও তার ছেলের হাতে পাসপোর্ট তুলে দিয়ে এ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
চকভৃগুর বাসিন্দা তথা ওই ব্যবসায়ীর সুপ্রকাশ সরকার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তার সাথে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। করোনা সন্দেহে তার পাসপোর্ট লাঠি দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয় ঘর থেকে বের হওয়ায় তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করে। দেশে ফিরতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। এব্যাপারে যারা তাকে সহযোগীতা করেছে তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানান।
সংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে এমন খবর জানার পরই তিনি উদ্যোগ নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের সাথে কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশে আটকে পড়া বাসিন্দাদের জন্য জারি করা জরুরি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেই ওই ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরিয়েছেন।