আমাদের ভারত, ১৮ জুন: লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফল হয়নি বঙ্গ বিজেপির। আসন সংখ্যা বাড়ার বদলে কমেছে। কিন্তু কেন এই ফলাফল হল? তা নিয়েই নানা মুনির নানা মত আছে। সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যে ফেরার পর বঙ্গ বিজেপি এই ফলাফলের কারণ পর্যালোচনা করতে বসেছিল। সূত্রের খবর, বুথ স্তরের সংগঠন শক্তিশালী না হবার ফলে অনেক জায়গায় শাসক দলের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়নি বলেই মত উঠে এসেছে বৈঠকে। তাই এবার বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করে আত্মনির্ভর হবার বার্তাই দিয়েছেন রাজ্যের শীর্ষ নেতারা।
২৪- এর লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে বঙ্গ বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় সল্টলেকের দলীয় কার্যালয়ে। সূত্রের খবর, সেখানে রাজ্য ও বিভিন্ন মোর্চার নেতেদের উদ্দেশ্যে সুকান্ত মজুমদারের বার্তা আত্মনির্ভর হতে হবে। শক্তিশালী করতে হবে বুথকে। তবেই শাসক দলের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।” এবারে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বঙ্গ বিজেপির নিচু তলার সংগঠনের দুর্বলতা সার্বিকভাবে চোখে পড়েছে। আর সেটা দূর করতে গেলে বুথ স্বশক্তিকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর নির্ভরতা কমিয়ে এবং স্থানীয় স্তরে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। অর্থাৎ দিল্লির মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে আত্মনির্ভর হতে হবে। জানাগেছে, নেতৃত্বের এই বার্তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে বৈঠকে।
সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যেমন বুথের নড়বড়ে অবস্থার কথা উঠে এসেছে তেমনি তথ্য দিয়ে রাজ্যে বিজেপির ফলাফল আশানুরূপ না হলেও আশাব্যঞ্জকও যে নয়, সেটাও তুলে ধরা হয়েছে। ২০৫টি বিধানসভায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। ৯০টি বিধানসভায় জিতেছে। ভোট বেড়েছে এক শতাংশ। বিজেপি একক শক্তি হিসেবে উঠে আসছে বাংলায়। তবে তার সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কেন ছয়টি আসন কমে গেল তার আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।