সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১০ ফেব্রুয়ারি: গরু পাচারের তদন্তে নেমে পুলিশের জালে ধরা পড়লো পাচার চক্র। গরু পাচারের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের হাতে এসেছে এরাজ্যে সক্রিয় এক চক্রের হদিশ। বাঁকুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি করে পাচার করে এই চক্র। ইতিমধ্যেই এই পাচার চক্রের ৮ জন ধরা পড়েছে বাঁকুড়া পুলিশের হাতে।
সম্প্রতি বাঁকুড়ার তালডাংরা থেকে গরু চুরি করে পাচারের সময় জয়পুর থানায় নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাচার চক্রের ৫ জন। সেই সময় ৫টি চুরির গরু উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চক্রের আরও ৩ জন শনিবার ধরা পড়ল বাঁকুড়া পুলিশের জালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা থেকে এই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বাঁকুড়া পুলিশ। তবে পুলিশের মতে এই চক্রের মূল পান্ডারা এখনো অধরা। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চক্রের পান্ডাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলার জয়পুর ও কোতুলপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরই তালডাংরা থানা এলাকা থেকে ফের গরু চুরি যায়। জেলায় গরু চুরির ঘটনা বেড়ে চলায় পুলিশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এই চুরির ঘটনা আটকাতে তদন্তে পাঁচ পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। ওই তদন্তকারী দল জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় নাকা চেকিং সক্রিয় করে। তার পরই জয়পুরের এক নাকা চেকিং-এ পাচারের সময় গরু ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ পাঁচ পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ আধিকারিকরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকজনের সন্ধান পায় তারা। সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা এলাকায় হানা দিয়ে ইমরান লস্কর, শেখ সিরাজ ও শেখ বিকি নামে ৩ দুষ্কৃতীকে আটক করে বাঁকুড়া পুলিশ। রবিবার ওই তিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বাঁকুড়া পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, এই গরু পাচার চক্রে আরও কারা জড়িত, তারা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, কোন কোন জায়গা থেকে তারা ইতিমধ্যে গরু চুরি করে পাচার করেছে বা কোথায় পাচার করে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানতে চাইছে তারা।