আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি: ৪০০০ বছরের পুরনো এক শহর দ্বারকা। শ্রীকৃষ্ণের কর্মভূমি। এমনটাই লোকশ্রুতি। সেই হারিয়ে যাওয়া শহরের খোঁজে নামলো আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি একটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল গঠন করেছে। এই দলে রয়েছেন মহিলার ডুবুরি বিজ্ঞানীরা।
ভারতবর্ষের জলের তলায় বহু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেইসব হারানো স্থান পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষা করাই লক্ষ্য এএসআই’য়ের। সংস্থার আন্ডার ওয়াটার আর্কিওলজিক্যাল উইং-য়ের কাঁধে রয়েছে এই দায়িত্ব। এবার তারাই দ্বারকার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে নামছে।
দ্বারকা বরাবরই ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিকবিদের কৌতূহল ও রহস্যের কেন্দ্রে থেকেছে। পুরাণে বর্ণিত সপ্তপুরীর অন্যতম দ্বারকা। লোকশ্রুতি অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের দেহাবসানের পরই সূচনা হয় কলিযুগের। আর তখনই এই দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় সমুদ্র গর্ভে।
২০০৫ ও ২০০৭ সালে শেষ বার দ্বারকা ও বেট দ্বারকা নামের একটি দ্বীপের কাছে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তারপর থেকে কিন্তু সবটা বন্ধ ছিল। এই অনুসন্ধান দুই দশক পর আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে। তল্লাশি অভিযানে পাঁচ জনের দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অলক ত্রিপাঠী। এই দলের মধ্যে তিনজন ডুবুরি মহিলা।
২০২৪ সালে মোদী দ্বারকাধিস মন্দিরে যান। জলের নিচে গিয়ে ধ্যান করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তখনই জানা যায়, লুপ্ত নগরীর সন্ধানে তাঁর ওই জলের নিচে ধ্যান। সেই সময় থেকেই নতুন করে দ্বারকার নাম আলোচনায় উঠে আসতে থাকে। এবার সেখানে ডুবুরি নামালো
এএসআই।