“রক্তাক্ত হতে পারে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন” পুরুলিয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যপালের

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১ জানুয়ারি: রক্তাক্ত হতে পারে এই রাজ্যের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। একই সঙ্গে সেই রক্তাক্ত দিন না দেখতে সরকারি কর্মচারী ও পুলিশকে আইনের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানালেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এই কথা উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, “সংবাদ মাধ্যম স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলেই সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।”

আজ ইংরেজি বছরের শুরুতেই এক দিনের ঝটিকা সফরে পুরুলিয়ায় আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল হবার পর এই প্রথম পুরুলিয়ায় আসেন তিনি। আজ সকাল ১০.৫০টা নাগাদ আকাশ পথে পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলের ময়দানে নামেন তিনি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এরপর সৈনিক স্কুলে একটি ছাত্রী হোস্টেলের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন হয় একটি জিমের। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দেখেন স্কুলের পরিসর। স্মরণ করেন এই বিদ্যালয়ের প্রয়াত অসম সাহসী ছাত্র অমিত রাজকে। সৈনিক স্কুলের উন্নয়নের জন্য এগারো লক্ষ টাকাও প্রদান করেন রাজ্যপাল। 

দুপুরে পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে নতুন ইংরেজি বছরের শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের জনগণকে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সকলকে প্রচেষ্টা করতে হবে যাতে রাজ্যের নির্বাচন সন্ত্রাসমুক্ত হয়। সরকারি আধিকারিকদেরও এবিষয়ে বিশেষ যত্নবান হবার কথা বলেন তিনি। 

জগদ্দল থানার একটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতে যাবার জন্য এই থানার এক আধিকারিক এক নাগরিককে থানায় ডেকে পাঠিয়েছেন। এই ঘটনা জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতির নির্দেশ করছে। মৌলিক অধিকারের এত বড় হনন ভারতীয় সংবিধান অনুসারে বরদাস্ত করা অসম্ভব।

তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালকে অপসারণ করার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা কেন্দ্রীয় সাহায্য পাচ্ছেন না। উঠেছে নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। এই নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। এটা তাঁর কর্তব্য বলে জানিয়ে দেন। এছাড়া তাঁর এই কর্তব্য তিনি পালন করে যাবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, “এই নতুন দশক পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই দশক বলবে আগামী শতাব্দীর দিশা কী হবে। নির্ণায়ক হবে এই দশক।” বেলা তিনটে নাগাদ আবার কপ্টারে করে পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলের হেলিপ্যাড থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *