আমাদের ভারত, ২৭ আগস্ট:
তালিবানরা কাবুল দখল করার পরেই সেখানকার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ১০০ বেশি জৈশ জঙ্গি। জম্মু-কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ছক কষা হচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপে তারা জেইএম জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করছে। নেট মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট থেকে ভারতীয় গোয়েন্দারা এমনটা জানতে পেরেছেন বলে সূত্রের খবর।
জেইএমের প্রধান মাসুদ আজহার এখন আফগান জেল থেকে মুক্তি পাওয়া ১০০ জন জঙ্গিকে ট্রেনিং দিচ্ছে কোন পথে ভারতে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। ভারতে বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। গত সপ্তাহে মাসুদ আজহার জৈশ জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ছিল। সেই বৈঠকেই ভারতে আঘাত হানার ব্যাপারে জঙ্গিদের সবুজ সংকেত দিয়েছে মাসুদ। কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বড়সড় বিস্ফোরণ বা সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষছে তারা। এব্যাপারে তালিবানের তরফেও সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের। জেইএম নেতৃত্বের সঙ্গে তালিবান শীর্ষ কর্তাদের বৈঠক হয়েছে।
জইশ-ই-মহম্মদের বহু জঙ্গিকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের জেলে রেখেছিল আশরাফ গনি সরকার। কিন্তু তালিবানরা কাবুল দখল করার পর থেকেইএকে একে জৈশ জঙ্গিদের মুক্তি দিয়ে দেয় তালিবানরা।
ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা খবর পেয়েছে আফগানিস্তানের বিভিন্ন জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সেইসব জঙ্গিদের মধ্যে ১০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতে পাঠানোর জন্য। তাদের টার্গেট জম্মু-কাশ্মীর।
জেইএম শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যেই কাবুল দখল করার পর তালিবানদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক সেরে ফেলেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ছলে-বলে-কৌশলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরে। কখনো সফল হচ্ছে কখনো বা ব্যর্থ। কাবুলে তালিবানের সঙ্গে জেইএম নেতাদের গত সপ্তাহে বৈঠকের পর এবার পাক বাহিনী ও পাক সন্ত্রাসবাদীরা উৎসাহিত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগানিস্থানে তালিবানরা শক্তিশালী হয়ে উঠতে চলেছে সেই খবর কয়েক মাস আগেই আঁচ করা হয়েছিল। আর সেটা হলে কাশ্মীরের জেইএম জঙ্গিরা আবার অতি সক্রিয় হয়ে উঠবে। সেই কারণেই কাশ্মীরে আত্মগোপন করে থাকা জেইএম জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ৩১ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হয় পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টার মাইন্ড দুই কমান্ডার। অনুমান করা হচ্ছে এই দুই কমান্ডারের হত্যার বদলা নিতে পারি জঙ্গিরা। তার প্রস্তুতিতে গত সপ্তাহে কাবুলে তালিবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জেইএম নেতৃত্ব।